কট্টর ব্রাজিল সমর্থক হয়েও আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সকে নিয়ে কেন কথা বললেন টোটা রায়চৌধুরী? —ফাইল চিত্র।
কাতারে রুদ্ধশ্বাস বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ। সারা বিশ্বের নজর টিভির দিকে। বলা হচ্ছে শতাব্দীর ‘শ্রেষ্ঠ’ বিশ্বকাপ ফুটবল ম্যাচ নাকি রবিবারের আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্সের ম্যাচ। মেসির হাতে কাপ ওঠার পর সমাজমাধ্যমে শুভেচ্ছাবার্তার বন্যা বয়েছে। আবার ফ্রান্স হারলেও কেউ কেউ কিলিয়ান এমবাপের প্রশংসা করতেও পিছপা হচ্ছেন না। সব মিলিয়ে ২০২২ এর বিশ্বকাপ ফুটবল সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, প্রত্যেককেই কিছু না কিছু শিখিয়েছে। দিয়েছে জীবনে হার না মানার বার্তা। টোটা রায়চৌধুরীও এই ম্যাচ থেকে অনেক কিছু শিখেছেন। ম্যাচ শেষে তাঁর উপলব্ধিও ব্যক্ত করেছেন।
এই উপলব্ধিকে পর্দার ফেলুদা ‘জীবন পাঠ’ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। টোটা সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘কেউ হেরে গিয়েও জীবন শুরু করতে পারে। কিন্তু লাগাতার পরিশ্রম তাকে শেষ পর্যন্ত এক জন চ্যাম্পিয়নে বদলে দিতে পারে। যেমন আর্জেন্টিনা।’’ কারণ সৌদি আরবের কাছে হেরেই আর্জেন্টিনা তাদের বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করে। না, ফ্রান্সের জন্যও তাঁর লেখনী বন্ধ হয়নি। টোটার মতে, ‘‘কখনও কখনও আবার প্রতিভাই শেষ কথা বলে না। সফল হতে গেলে প্রতিভার সঙ্গেই ভাগ্যের সমর্থনও প্রয়োজন হয়।’’ উদাহরণ হিসেবে তিনি এমবাপের কথা উল্লেখ করেছেন। কারণ বিশ্বকাপে আট গোল করে গোল্ডেন বুটের অধিকারী হওয়ার পরেও এমবাপের ফ্রান্সের কাছে জয় অধরাই থেকে গিয়েছে।
ফাইনাল ম্যাচ। আর মেসিকে নিয়ে কোনও শব্দ খরচ করবেন না, তা কি সম্ভব! রবিবারের ম্যাচের পর মেসি প্রসঙ্গে টোটা লিখেছেন, ‘‘এই ম্যাচে যদি ঈশ্বর ফুটবল খেলতেন, তা হলে তিনি হয়তো মেসির মতোই খেলতেন।’’ স্বাভাবিক ভাবেই টোটার এই বিশ্লেষণ অনুরাগীদের ভালবাসা কুড়িয়ে নিয়েছে।
কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন, টোটা আসলে ব্রাজিলের সমর্থক। কট্টর ব্রাজিল সমর্থক হয়েও আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্সকে নিয়ে কথা বললেন কেন? আনন্দবাজার অনলাইনকে টোটার জবাব, ‘‘আমি ব্রাজিল সমর্থক সেটা অনেকেই জানেন। কিন্তু কালকের ম্যাচে আমি আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করছিলাম। তবে দুই দলই নিজের সেরাটা দিয়েছে। আমি খুব খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy