অলিভিয়ার জীবনে যখন প্রেম-বিচ্ছেদ এসেছিল তখন কি করেছিলেন তিনি?
রবিবাসরীয় সকাল উথালপাতাল দুর্নিবার সাহা-ঐন্দ্রিলা সেন-রাহুল দেব বসুর সম্পর্কের ত্রিকোণমিতিতে। সোমবার সকালের গুঞ্জন, হিরণ-অনিন্দিতা চট্টোপাধ্যায়ের ২২ বছরের দাম্পত্যেও নাকি কালো ছায়া! কিছু দিন আগেই ছ’বছরের লিভ ইনে দাঁড়ি রোহন ভট্টাচার্য-সৃজলা গুহর। শোলাঙ্কি রায়েরও নাকি বিয়ে ভাঙছে!
একুশ শতক কি তা হলে ভাঙনের কাল? এবং বিচ্ছেদের পরেই দুই বিচ্ছিন্ন একে অপরের খুব ভাল বন্ধু! প্রেম ভাঙলেও রাগ নেই। কান্না নেই। অভিমান নেই। হাহাকার? না, সেটাও নেই! আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন রেখেছিল অলিভিয়া সরকারের কাছে। অলিভিয়া ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় মুখ। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী জানিয়েছিলেন, তাঁর জীবনেও একাধিক ‘ব্যথা’ আছে!
সম্পর্ক নিয়ে বলতে গিয়ে অলিভিয়া একাধিক যুক্তি দিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এই বিচ্ছেদ শুধু ইন্ডাস্ট্রিতে নয়, সর্বত্র। হয়তো আমরা পারস্পরিক সম্মান হারিয়ে ফেলছি। কিংবা সমঝোতা থাকছে না। আগ্রহ হারিয়ে ফেলছি। কিছু তো সমস্যা থাকছেই, যা ফাঁক তৈরি করছে। সেই ফাঁক গলে আসছে বিচ্ছেদ। আমরা আসলে ছড়িয়ে ফেলছি।’’
তিনি জানালেন ভাঙনের পাশাপাশি নেটমাধ্যমের সৌজন্যে ‘রোস্ট’ হওয়ার ভয়ও রয়েছে। সেখানে তো আগেভাগেই মানুষের বিচারসভা বসে যায়! সম্ভবত তাই সব দুঃখের উপরে দেখনদারি হাসি মুখে রাখতেই হয়। বিচ্ছেদ হলেও তা আড়াল করতে হয়।
অলিভিয়া জীবনে যখন প্রেম-বিচ্ছেদ এসেছিল তিনিও কি করেছিলেন? অতীত খুঁড়ে আর দেখতে চান না অভিনেত্রী। তবে দায়ী করেছেন তাঁর স্বাধীনচেতা মনোভাব আর তাঁর জনপ্রিয়তাকে। যার জেরে একাধিক সম্পর্ক ভেঙেছে তাঁর। এবং তিনি কোনও দিন প্রেম লুকোননি। বিচ্ছেদের পর মেকি হাসিও হাসেননি। অলিভিয়ার বক্তব্য, ‘‘আমি তখন সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলাম। কাজ থেকেও। চুপ করে বাড়িতে বসে থাকতাম। আমার বন্ধুরা সেই সময় আগলেছিল।’’
তাই আর চট করে প্রেমে পড়েন না। এবং ঈশ্বরের কাছে একটাই প্রার্থনা তাঁর, ‘‘সব পারব। ‘প্রাক্তন’-এর মুখোমুখি কোনও দিন হতে পারব না। অনেক কষ্টে বিচ্ছেদ ভুলেছি। কোনও ভাবেই আর সেই যন্ত্রণা জাগাতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy