Advertisement
০৩ মে ২০২৪
Arijit Singh

‘এ সব করতে আসিনি…’ চণ্ডীগড়ের কনসার্টে হঠাৎ কী হল যে মেজাজ হারালেন অরিজিৎ!

সম্প্রতি চণ্ডীগড়ে শো করতে যান অরিজিৎ সিংহ। সেখানে এমন কী হল যে গান থামিয়ে মঞ্চে বসে পড়লেন তিনি?

অরিজিৎ সিংহ।

অরিজিৎ সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
চন্ডীগড় শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৬
Share: Save:

মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জের ছেলে তিনি। কর্মসূত্রে থাকেন মুম্বইয়ে। দেশজোড়া খ্যাতি তাঁর। কোটি টাকা উপার্জন, তবু বড্ড মাটির কাছাকাছি তিনি। গত কয়েক বছরে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে তাঁর খ্যাতি। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাঁর অনুরাগীসংখ্যা। হাসিমুখে দাবিদাওয়া মেটান অনুরাগীদের। তবে মাত্রাতিরিক্ত কিছু দেখলে ধমকও দেন তিনি। দেশে-বিদেশে শো করেন। লাখ লাখ টাকায় বিক্রি হয় তাঁর শোয়ের টিকিট। সম্প্রতি চণ্ডীগড়ে শো করতে যান তিনি। থিক থিক করছেন দর্শক। এ দিন অরিজিতের শোয়ে আসেন রণবীর কপূর। কিন্তু হঠাৎ গাইতে গাইতে মঞ্চে বসে পড়লেন। বললেন, ‘‘এ সব করতে আসিনি।’’

মঞ্চে গিটার হাতে একের পর এক গান গাইছেন। কখনও ‘চন্না মেরেয়া’, কখনও ‘অ্যানিমাল’ ছবির ‘সাতরঙ্গা’। অরিজিৎকে তখন সামনে থেকে দেখার হিড়ির। মঞ্চে উড়ে আসছে রুমাল, টি-শার্ট, টুপি। দাবি অরিজিতের ‘অটোগ্রাফ’ এর। গান গাইতে গাইতেই বিলোচ্ছেন স্বাক্ষর। কিন্তু আচমকাই স্টেজের মাঝে হাঁটু মুড়ে বসে পড়েন অরিজিৎ। তাঁকে বলতে শোনা গেল, ‘‘এখানে যে মহিলা রয়েছেন, উনি বলছেন, আপনি এটা বন্ধ করুন আর গান করুন। আমি তাঁর সঙ্গে সহমত।’’ হাতে থাকা রুমালটি সরিয়ে রেখে অরিজিৎ বলেন, ‘‘আমি অনেক ক্ষণ ধরে এটা করছি। এখানে গান গাইতে এসেছি। এ সব করতে আসিনি। অনুরোধ করছি কিছু ক্ষণের জন্য বন্ধ করুন। আমি কাউকে বারণ করতে পারছি না। কিন্তু আমি তো এখানে গাইতে এসেছি।’’ এই প্রথম নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময় শো করতে গিয়ে অনুরাগীদের কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। তবে প্রতি বারই বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিস্থিতির সামাল দিয়েছেন গায়ক। এ দিন অরিজিতের শোয়ে নিজের আসন্ন ছবি ‘অ্যানিমাল’-এর প্রচার করতে এসে অরিজিতের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন রণবীর কপূর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE