Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইউটিউব জালে এ বার মিমি-শ্রীলেখা-আলিয়ারাও

বলিউড-টলিউডের সেলেব্রিটিরা কেন খুলছেন নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল? সন্ধানে আনন্দ প্লাসমিমি এর আগে ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। তবে গান নিয়ে তিনি বড় কিছু করতে চান। তাই তাঁর চ্যানেলের প্রথম কনটেন্ট তাঁর মিউজ়িক ভিডিয়ো।

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের পরে তারকাদের পছন্দের ডেস্টিনেশন ইউটিউব।

ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের পরে তারকাদের পছন্দের ডেস্টিনেশন ইউটিউব।

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

ডিজিটাল ইন্ডিয়ায় কোনও তারকাই পিছিয়ে থাকতে চান না। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামের পরে তাঁদের পছন্দের ডেস্টিনেশন ইউটিউব। মিমি চক্রবর্তী সম্প্রতি লঞ্চ করলেন তাঁর ইউটিউব চ্যানেল, ‘মিমি চক্রবর্তী ক্রিয়েশনস’। রাজ চক্রবর্তীর প্রোডাকশন হাউসেরও ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে। নতুন চ্যানেল খুলেছেন শ্রীলেখা মিত্রও। টলিউডে এই হাওয়া সাম্প্রতিক। তবে বলিউডে বেশ কয়েক বছর ধরেই নিজস্ব চ্যানেল লঞ্চ করেছেন তারকারা। ইউটিউবে সঙ্গীতশিল্পীরা অনেক দিন ধরেই রয়েছেন। বহু অনামী শিল্পীও খ্যাতি পেয়েছেন ইউটিউবার হয়েই!

ইউটিউবের গুরুত্ব কোথায়?

একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবারের সংখ্যা রোজ বাড়ছে প্রায় এক লক্ষের মতো। রাজ বলছেন, ‘‘আমার কিছু প্রচার করার থাকলে আগে কারও উপরে নির্ভর করতে হত। কিন্তু ইউটিউবে আমি সরাসরি ছবির গান, কনটেন্ট পোস্ট করছি। আর দর্শকের কাছে পৌঁছনোর জন্য ইউটিউবের চেয়ে বড় প্ল্যাটফর্ম নেই।’’ শ্রীলেখা মিত্র বললেন, ‘‘অভিনয় ছাড়া আমি লেখালিখি করি। এ ছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে আমার মতামত রয়েছে। সেগুলো দর্শকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই ইউটিউব চ্যানেল।’’ নতুন প্রতিভাদের প্রচারেও তাঁর চ্যানেল ব্যবহার করবেন শ্রীলেখা।

চেনা ইমেজের বাইরে

মিমি এর আগে ছবিতে প্লেব্যাক করেছেন। তবে গান নিয়ে তিনি বড় কিছু করতে চান। তাই তাঁর চ্যানেলের প্রথম কনটেন্ট তাঁর মিউজ়িক ভিডিয়ো। ‘‘আমি কতটা ফ্রি-স্পিরিটেড মানুষ, তা দর্শক আগে দেখেননি। এই চ্যানেল আমার সত্তার এক্সটেনশন। আমি যে বেড়াতে ভালবাসি, নতুন নতুন জায়গায় গিয়ে অচেনা মানুষের সঙ্গে আলাপ করি, সেই সব আমার ফ্যানেরা দেখতে পাবেন,’’ বললেন সাংসদ-অভিনেত্রী। তবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডকে এখনই এই মাধ্যমে আনতে চাইছেন না তিনি।

ব্যবসায়িক অঙ্ক

ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লাভের অঙ্কও বাড়তে থাকে। তার জন্য কাঙ্ক্ষিত সংখ্যায় পৌঁছতে হবে। তারকাদের সে দিকেও আগ্রহ কম নয়। রাজ বলছিলেন, ‘‘আমার প্ল্যাটফর্মকে যদি বড় করতে পারি, তখন অনেক ছোট মাপের ব্র্যান্ড আমার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচারে আসবে। সে ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডটিরও লাভ, চ্যানেলেরও রেভিনিউ বাড়বে।’’

বলিউডেও ব্যবসায়িক অঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ। একটি ফ্যাশন কমার্স পোর্টালে শেয়ার হোল্ডার আলিয়া ভট্ট। নিজস্ব ব্র্যান্ডের প্রচারে ইউটিউবকে কাজে লাগাতে পারেন ইয়ুথ আইকন আলিয়া। এই মডেলের অনুপ্রেরণা হলিউড সেলেব্রিটি কাইলি জেনার। তাঁর ইনস্টাগ্রামের রেকর্ডসংখ্যক ফলোয়ার বাড়িয়েছিল কাইলির কসমেটিকস ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা।

বলিউডে বৈচিত্র

জুনে এসেছে আলিয়ার চ্যানেল। বরুণ ধওয়ন চ্যাট শো নিয়ে আসছেন তাঁর চ্যানেলে। অর্জুন কপূর তাঁর চ্যানেলে বিভিন্ন শোয়ের সমালোচনা করেন। সুস্থ থাকার পাসওয়ার্ড, রান্নার খুঁটিনাটি বলেন শিল্পা শেট্টি। অজয় দেবগণ, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ারও নিজস্ব চ্যানেল রয়েছে।

ঝুঁকি কতটা?

সোশ্যাল মিডিয়ায় ধারাবাহিক উপস্থিতি বাড়তি চাপ তৈরি করে? ‘‘সারা দিন কী করছি সবই পোস্ট করি ইনস্টাগ্রামে। মনে হয় না, চাপ হবে,’’ বললেন মিমি।

সেলেব্রিটি যতই প্রচারমাধ্যমে আসুন না কেন, তারকার বলয় ভেদ করা সহজ নয়— এই ধারণা এখন অতীত। সোশ্যাল মিডিয়ার বলয় বাড়ানোই তারকাদের একমাত্র লক্ষ্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Celebrity YouTube
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE