২০১৮ থেকে ২০২৫। সাত বছরে সাতটি ছবি। ‘হনিমুন’, ‘লাভ ম্যারেজ’, ‘পলাশের বিয়ে’ বা ‘আলাপ’— প্রত্যেকটা ছবিই সমালোচক প্রশংসিত। ছবিগুলো খুব খারাপ ব্যবসা করেছে, তা-ও নয়। তার পরেও দেড় বছর ধরে কাজ নেই পরিচালক প্রেমেন্দুবিকাশ চাকীর! ছবি পরিচালনার পাশাপাশি তিনি চিত্রগ্রাহক, চিত্রনাট্যকারও।
ছবি পরিচালনার কাজ বন্ধ। প্রেমেন্দুবিকাশ কি ফের শুধুই চিত্রগ্রাহক? দিন চলছে কী করে তাঁর?
আনন্দবাজার ডট কম প্রশ্ন করেছিল তাঁকে। তাঁর জবাব, “সিনেমাটোগ্রাফার হিসাবে আলোর কাজ জানি। পরিচালনার কাজ পাচ্ছি না। তাই সেই জ্ঞান কাজে লাগিয়ে নানা জায়গায় আলোকশিল্পীর কাজ করছি। বাকি সময় বাড়িতে বসে বই পড়ছি। চিত্রনাট্য লিখছি। ছবি দেখছি। আর আশায় বাঁচছি, নিশ্চয়ই আবার ছবি বানানোর সুযোগ পাব।” তার পরেই নিজেকে দোষারোপ করেছেন তিনি। বলেছেন, “কী করে প্রযোজক ধরতে হয় জানি না! তাই হয়তো ঝুলিতে চিত্রনাট্য থাকা সত্ত্বেও ছবি বানাতে পারছি না। বাকি পরিচালকেরা নিশ্চয়ই সেই পদ্ধতি জানেন। তাই তাঁরা পরের পর ছবি বানাতে পারছেন।”
কথাপ্রসঙ্গে তিনি তাঁর আপাতত শেষ ছবি ‘আলাপ’-এর কথাও তোলেন। ছবিতে আবীর চট্টোপাধ্যায়-মিমি চক্রবর্তী জুটি বেঁধেছিলেন। এখনকার নারী-পুরুষ পেশার কারণে একই বাড়ির ছাদ অনায়াসে ভাগ করে নেন। তাতে কি প্রেম জন্ম নেয়? নতুন স্বাদের এই গল্প দর্শকের ভাল লেগেছিল। প্রেমেন্দুর ঝুলিতে এ রকমই নানা স্বাদের একাধিক চিত্রনাট্য তৈরি। প্রযোজকের অভাবে একটিও তৈরি করতে পারছেন না।
প্রেমেন্দুর শেষ ছবির প্রযোজক সুরিন্দর ফিল্মস। তাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন? পরিচালকের কথায়, “সংস্থার প্রযোজক নিসপাল সিংহ রানে জানিয়েছেন, নতুন ছবি বানালে ওঁরা ডাকবেন। কিন্তু ওঁরাই তো এখন নতুন ছবি বানাচ্ছেন না।” প্রযোজনা সংস্থার ঝুলিতেও একাধিক ছবি তৈরি হয়ে রয়েছে। সেগুলো এক এক করে মুক্তি দিচ্ছে তারা, জানিয়েছেন প্রেমেন্দু।
আরও পড়ুন:
অনেকেই ধারাবাহিক বা সিরিজ় পরিচালনায় ঝুঁকছেন। প্রেমেন্দুও কি সেই পথে হাঁটবেন?
পরিচালকের মতে, “ছোটপর্দায় অনেক কাজ করেছি। ধারাবাহিক ‘শুধু তোমারই জন্য’-র ৮০ শতাংশ পরিচালনা করেছি। কালার্স চ্যানেলের ‘মন মানে না’ ধারাবাহিকটিও আমার পরিচালনা।” প্রেমেন্দুর যুক্তি, ছোটপর্দায় পরিচালনার কাজ শিখে তবে বড়পর্দায় এসেছেন। তাই এখনই আবার ছোটপর্দায় ফিরতে রাজি নন।