সমিউল আলম। ছবি: ফেসবুক।
দেবের ‘বাঘা যতীন’ ছবির টিজ়ার নজর কাড়ছে সমাজমাধ্যমে। এই টিজ়ারেই এক ঝলকের জন্য দেখা গেল বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুকে। অগ্নিযুগের বিপ্লবী কিশোরের মুখটা কি চেনা চেনা ঠেকল? তা হলে ফিরে যেতে হবে সাত বছর আগেকার এক গল্পে।
২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল মানস মুকুল পাল পরিচালিত ছবি ‘সহজপাঠের গপ্পো’। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা ‘তালনবমী’ গল্পের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছিল এই ছবি। চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে পরিচালকের দরকার ছিল দু’টি বাচ্চার। সেই খোঁজেই বেড়াচাঁপা গ্রামে পৌঁছেছিলেন পরিচালক। বহু অডিশনের পর বেছে নিয়েছিলেন দু’জনকে। এক জন নুর ইসলাম এবং অন্য জন সামিউল আলম। বেড়াচাঁপা গ্রামের নিম্নবিত্ত পরিবারের দু’টি শিশু প্রথম ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে পেয়েছিল জাতীয় পুরস্কার। সে সময় ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের ‘ছোটু’ আর ‘গোপাল’ নামেই চিনেছিল সবাই। মাঝে কেটে গিয়েছে সাত বছর।
সমিউল এই কয়েক বছরে স্কুলে গণ্ডি পার করে ফেলেছেন। সদ্য ভর্তি হয়েছেন কলেজে। পর পর বেশ কিছু সিনেমা, সিরিজ়ে কাজও করছেন। সম্প্রতি ‘বাঘা যতীন’-এর প্রথম ঝলক লঞ্চের অনুষ্ঠানে দেখা গেল সমিউলকে। হালকা গোঁফের রেখা দেখা দিয়েছে। গালেও দাড়ি উঠেছে। এখনও কি বেড়াচাঁপা গ্রামেই থাকেন তিনি? ছোটু অর্থাৎ নুরের সঙ্গে যোগাযোগ আছে? আনন্দবাজার অনলাইনকে সমিউল বলেন, “আমি বেড়াচাঁপার স্কুলেই পড়াশোনা করেছি। এখনও সেই আগের মতোই গ্রাম থেকে ট্রেনে-বাসে কলকাতায় আসি। কোনও দিন রাত হয়ে গেলে আমি মানসকাকুর (মানস মুকুল পাল) বাড়ি বারাসতে থেকে যাই। সেই পুরনো অভ্যাসই রয়ে গিয়েছে আমার। নুরের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে। ও তো কিছু দিন আগে ‘সন্ধ্যাতারা’ সিরিয়ালে অভিনয়ও করল। এই কয়েক বছরে দর্শকের যে আমার অভিনয় ভাল লেগেছে, এটা ভেবে ভাল লাগছে।”
রাজ চক্রবর্তী পরিচালিত ‘আবার প্রলয়’ সিরিজ়ে তাঁকে সম্পূর্ণ অন্য ভাবে দেখেছেন দর্শক। ক্ষুদিরাম হিসাবেও এক ঝলক পেয়েছেন ‘বাঘা যতীন’-এর টিজ়ারে। শোনা যাচ্ছে, মানস মুকুলের আগামী ছবি ‘বিনয় বাদল দীনেশ’-এ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে সমিউলকে দেখবেন দর্শক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy