জ়ুবিন গার্গের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। সিঙ্গাপুরে গিয়ে স্কুবা ডাইভিং করার সময় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে সঙ্গীতশিল্পীর। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন ‘নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যাল’-এ গান গাইতে। জ়ুবিনের মৃত্যুর পর সেই অনুষ্ঠানের আয়োজক ও গায়কের আপ্তসহায়কের বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ। জ়ুবিনের স্ত্রী গরিমা শইকীয়া আর্জি জানিয়েছিলেন, আপ্তসহায়কের উপর থেকে অভিযোগ তুলে নেওয়া হোক। তার পর থেকেই কটাক্ষে বিদ্ধ হচ্ছেন তিনি।
‘নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যাল’-এ যোগ দিতে সেখানে গিয়েছিলেন গায়ক। তাই মৃত্যুর পরে সেই অনুষ্ঠানের আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত ও জ়ুবিনের আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। গায়কের মৃত্যুর দু’দিনের মাথায় সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো করে গরিমা অনুরোধ করেন, সিদ্ধার্থ তাঁদের পরিবারের মতো। ওঁকে অব্যাহতি দেওয়া হোক, যাতে তিনি গায়কের শেষকৃত্যে থাকতে পারেন। এই ভিডিয়ো পোস্ট করার পরেই তাঁর দিকে ধেয়ে আসতে থাকে কটাক্ষ।
স্বামীর জন্য শোকাতুর না হয়ে, কী ভাবে এই মুহূর্তে আপ্তসহায়কের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর নিয়ে কথা বলছেন? এমন প্রশ্ন ওঠে। একজন নেটাগরিক লেখেন, “খুব অদ্ভুত লাগছে। দু’দিন আগে স্বামী মারা গেলেন। আর ইনি শোকপ্রকাশ না করে সমাজমাধ্যমে এসে কথা বলছেন আর অভিযুক্তদের নির্দোষ প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। কিছু রহস্য নিশ্চয়ই রয়েছে।”
আরও পড়ুন:
অনেকে আবার দাবি করেছেন, জ়ুবিনকে বাধা দেওয়ার দায়িত্ব ছিল গরিমারই। নেটাগরিকের মন্তব্য, “স্ত্রী হিসেবে জ়ুবিনকে বাধা দেওয়া উচিত ছিল। স্বামী যখন অসুস্থ, তাঁর সঙ্গে কেন একজন নার্সকে পাঠালেন না?” অনেকের দাবি, আপ্তসহায়ক চাপ দিয়ে গরিমাকে এই ভিডিয়ো পোস্ট করতে বাধ্য করেছেন।
সেই ভিডিয়োয় কী বলেছিলেন গরিমা? “জ়ুবিনের শেষযাত্রায় দয়া করে সিদ্ধার্থকে শামিল হতে দিন। সিদ্ধার্থের ব্যাপারে কেউ খারাপ কিছু ভাববেন না। ওঁকে জ়ুবিন নিজের ভাইয়ের মতো দেখত। ভবিষ্যতে আমার সিদ্ধার্থের সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে। ওকে ছাড়া আমি এই পরিস্থিতি সামলে উঠতে পারব না।”