Advertisement
১১ মে ২০২৪

ডেটলাইন ৪ সেপ্টেম্বর

ঠিক পরের দিন রিলিজ হচ্ছে ‘মেরি কম’। আর বিষ্যুদবার রাতে হয়তো দুর্ভাবনায় ঘুমই আসবে না মণিপুরি বক্সারের। সব ক্রীড়াবিদেরই এই আতঙ্ক থাকে। পর্দায় তাঁকে খেলো করে দেখানো হবে না তো? কথা বললেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।৪ সেপ্টেম্বর রাতে মেরি কম কি ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুতে যাবেন? প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও কি তাই? ৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে প্রিয়ঙ্কার ছবি। নাম ‘মেরি কম’। মুক্তি পাওয়ার আগের রাতে প্রিয়ঙ্কার টেনশন, অভিনয়ে লেটার মার্কস পাওয়া নিয়ে।

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৪ ০০:০০
Share: Save:

৪ সেপ্টেম্বর রাতে মেরি কম কি ঘুমের ওষুধ খেয়ে শুতে যাবেন?

প্রিয়ঙ্কা চোপড়াও কি তাই?

৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে প্রিয়ঙ্কার ছবি। নাম ‘মেরি কম’। মুক্তি পাওয়ার আগের রাতে প্রিয়ঙ্কার টেনশন, অভিনয়ে লেটার মার্কস পাওয়া নিয়ে। মেরি কমের চরিত্রটা ঠিক ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলে দর্শকের মন জয় করতে পারবেন তো তিনি?

ইতিমধ্যেই তো অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন কেন প্রিয়ঙ্কার বদলে মণিপুরি অভিনেত্রীদের দিয়ে ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে বলা হয়নি। তাদের সবাইকে ভুল প্রমাণ করতে পারবেন কি প্রিয়ঙ্কা?

আর মেরির চিন্তা হয়তো অন্য কারণে। বলিউড ছবি। যেখানে ১০০ কোটি না করতে পারলে আজকাল কেউ পাত্তাই দিতে চায় না। সেখানে গ্ল্যামার তো চাই। চাই মশালাও। দু’চারটে গান থাকলেও মন্দ হয় না। এ সব কিছু সামলে মেরির জীবনের আসল স্ট্রাগলটা গোঁত্তা খেয়ে পিছনে চলে যাবে না তো?

খেলোয়াড়দের নিয়ে জীবনীমূলক ছবি করার ঝক্কি অনেক। বইয়ে কিছু তথ্য লেখা এক ব্যাপার। আর তা বড় পর্দায় কোটি কোটি দর্শকের সামনে তুলে ধরার চ্যালেঞ্জটা অন্য রকমের।

ছবি বক্সঅফিসে হিট করানোর জন্য কতটা টেকনিক্যালিটি থাকবে, আর কতটা গ্ল্যামার আর সেক্স কোশেন্ট ঢোকানো হবে, সেটা ঠিক করাটা বেশ কঠিন। বেশি মশলাদার হলে ছবির বিষয়টা খেলো হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। আবার খুব তথ্যনির্ভর হলে, তা ডকুমেন্টারির চেহারা নিতে পারে।

‘ভাগ মিলখা ভাগ’ ছবিটা বহু জায়গায় প্রশংসা পেলেও কয়েক মাস আগে নাসিরুদ্দিন শাহ্ এর সমালোচনা করেছিলেন। উনি বলেছিলেন ছবিটা না কি ‘ফেক’। মোটেও ফারহানকে মিলখার মতো দেখতে লাগেনি। ফারহান শরীরচর্চা করেছেন ঠিকই। মেয়েরা তাঁকে দেখে পাগল। তবে ছবিটা মোটেও দাঁড়ায়নি। আর মিলখার আশেপাশের কেউই তাঁকে এ নিয়ে সতর্ক করে দেয়নি বলেও নাসিরের ক্ষোভ।

নাসিরের ক্ষোভ এক ধরনের, অন্যরা অবশ্য আপত্তি তুলেছিল ছবির অন্য প্রসঙ্গে। ছবির মধ্যে যৌনতা এসেছিল আর তা নিয়ে দর্শকের একাংশ প্রশ্ন তুলেছিলেন।

তবে মিলখা সে তর্কে যেতে চান না। “জানি না কেন উনি ফেক ফিল্ম বলেছিলেন। প্রফেশনাল জেলাসি হতে পারে। তবে এ নিয়ে কথা বাড়াব না। দর্শকের ভাল লেগেছে। আমার ভাল লেগেছে। সেটাই শেষ কথা,” বলছেন মিলখা। বারবার বলেছেন ফারহান তাঁকে এতটুকুও হতাশ করেননি।

স্বীকার করছেন যে ছবির অন্যতম সাহসী দৃশ্য ছিল ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডের প্রসঙ্গটা। ১৯৫৬-র মেলবোর্ন অলিম্পিক্স। সেখানে গিয়েছিলেন মিলখা। তাঁর অস্ট্রেলিয়ান টেকনিক্যাল কোচের নাতনি মিলখার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে যান। তার পর ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড। ছবিতে এই ঘটনাটা না দেখালে যে হত না তা নয়। তবে মিলখা সত্যিটা গোপন করতে চাননি। “ইয়ে এপিসোড নহি ভি দিখাতা তো কেয়া ফরক পড়তা? সে ভাবে কিছুই নয়। কিন্তু ঘটনাটাকে তো অস্বীকার করাও যায় না। মানুষের জানা উচিত, খেলোয়াড়দের পিছনে যে মেয়েরা ছুটতে থাকে, তাঁরা আকৃষ্ট হয়। জওয়ানি মে হর আদমি ইয়ে কাম করতা হ্যায়...অল্পবয়সে সব মানুষেরই এ রকম অভিজ্ঞতা হয়ে থাকে। মজা তখনই হয় যখন এই সত্যিটা দেখানোর দম থাকে কোনও মানুষের মধ্যে,” বলেন মিলখা।

তবে বড় পর্দায় এই ঘটনাটা কী ভাবে দেখানো হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় ছিল মিলখার মনে। বিচে ফারহান আর রেবেকা ব্রিডসের দৃশ্যে যদি অতিরঞ্জিত কিছু দেখানো হয়? “প্রথম যখন দেখি, কিছু অংশ আমার ভাল লাগেনি। বলেছিলাম বাচ্চারা ছবিটা দেখবে। এগুলো বাদ দিয়ে দাও। ওঁরা কথা রেখেছিলেন।”

‘ভাগ মিলখা ভাগ’

৫ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে প্রিয়ঙ্কার ছবি। নাম ‘মেরি কম’। মুক্তি পাওয়ার আগের রাতে প্রিয়ঙ্কার টেনশন, অভিনয়ে লেটার মার্কস পাওয়া নিয়ে।

মীররঞ্জন নেগির ক্ষেত্রেও দ্বিধা ছিল। উনি চেয়েছিলেন ছবিটাকে টেকনিক্যালি ঠিক করে বানাতে। ড্রামা নয়, সেখানে ছবির মূল ভাব হওয়া দরকার খেলাটাই। কিন্তু বলিউডের চাহিদা অন্য। সেখানে মশলা তো থাকতেই হবে। আজও নেগির মনে আছে ভারতের হকি প্লেয়াররা যখন ‘চক দে! ইন্ডিয়া’ ছবিটা দেখেন। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, “ওদের ছবিটার সব দৃশ্য ভাল লেগেছিল খালি একটা দৃশ্য বাদে। যেখানে শিল্পা শুক্লা ওর চেনটা খুলে দিয়ে শাহরুখকে বলে ও ক্যাপ্টেন হওয়ার জন্য সব কিছু করতে রাজি। ওটা দেখে আমাদের খেলোয়াড়রা বলেছিল তাদের জীবনে কখনও ও রকম ব্যাপার ঘটেনি। আসল বিষয়টা হল কিছু ক্ষেত্রে তো সিনেমাটিক লিবার্টি নিয়ে থাকে বলিউড....”

বলিউডাইজেশন নিয়েই সমস্যা। ক্রিকেটপাগল দেশ। সেখানে অন্য কোনও খেলা প্রায় প্রাধান্য পায় না। আর সেই জগতের ক্রীড়াবিদকে নিয়ে বলিউডে ছবি বানানোর ঝামেলা তো কম নেই। সচিন, সৌরভ, ধোনিকে নিয়ে ছবি হলে বিষয়টাই তারকা। কিন্তু অন্যান্য খেলার দুনিয়ার তারকাদের প্রতি সাধারণ দর্শকের যে চরম আকর্ষণ থাকবেই, এমন দাবি রাখে না বলিউড। তাই মিলখার গল্প বলতে গেলে ব্রিজে বসে ফারহান গান গেয়ে চলেন। তাঁর মাথা সোনম কপূরের কোলে। যা দেখে রক্ষণশীল দর্শক আপত্তি তোলেন। তবে বক্সঅফিস এতেই কাত।

শাহরুখের ছবিতে ‘সেন্স অব প্রোপরশন’ যাতে না হারিয়ে যায় সে ব্যাপারে সতর্ক ছিলেন নেগি। সুবিধে হয়েছিল যে তিনি নিজেই প্রত্যেকটা দৃশ্য কী ভাবে ডিজাইন হবে, তা ঠিক করে দিয়েছিলেন। মাঝেমধ্যে শুধরেও দিয়েছেন তিনি।

একটা দৃশ্য আছে, যেখানে শাহরুখ খান সাঙ্ঘাতিক রেগে যান মেয়েদের উপর। সবাইকে বকতে শুরু করেন। ঠিক সেই সময় একজন হকি স্টিকটা ছুড়ে দেয়। মাটিতে পড়ে যায় সেটা। প্রথমে কথা ছিল একটা দৃশ্যে শাহরুখ পা দিয়ে একটু জাগলারি করে হকি স্টিকটা আবার হাতে তুলে নেবেন।

কিন্তু এমন প্ল্যান শুনে চমকে যান নেগি। হকি প্লেয়ারদের কাছে ওই স্টিকটা ভগবানের সমতুল্য। সেটাতে পা লাগানোর কথা কেউ ভাবতেই পারে না। তৎক্ষণাৎ নেগি জানিয়ে দেন দৃশ্যটা একটু ঘুরিয়ে ডিজাইন করতে হবে। স্টিকটা পা দিয়ে ছোঁয়া যাবে না। ছবিতেও সেটা মানা হয়েছিল।

আরও একটা দৃশ্য নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। সেটা ছিল অস্ট্রেলিয়ান মহিলা হকি টিম হকিরুজ-এর পোশাক নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ান মেয়েদের জার্সিটা একটু অন্য রকম ভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল। মেয়েদের সেক্সি দেখতে লাগবে বলে পোশাকের ডিজাইনটাই একটু ডেয়ারিং হয়ে গিয়েছিল। বুকের কাছে ছোট দু’টো ফুটো করে দেওয়া হয়েছিল। যাঁরা অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়দের ভূমিকায় ছিলেন, তাঁদের ওই জার্সি নিয়ে কোনও অসুবিধে ছিল না। “ওরা তো বিচে গিয়ে অনেক খোলামেলা পোশাকই পরে। কিন্তু আমার আপত্তি ছিল। খেলার সময় সেক্সি পোশাক আমার অপছন্দ ছিল। এই নিয়ে কথা বলি। তার পর অবশ্য রি-ডিজাইন করা টি শার্ট পরানো হয়,” জানান নেগি।

ফারহানের পোশাক কী হবে তা নিয়ে মিলখার সমস্যা না থাকলেও সংশয় ছিল ফারহানের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ নিয়ে। “আমি মনে মনে ভেবেছিলাম ওরা কি সত্যিই এই কাজটা করতে পারবে? জাস্টিফাই করতে পারবে যে চ্যালেঞ্জটা তুলে নিয়েছে কাঁধে?” পুরনো কথা ভেসে আসে মিলখার মনে।

ভয় ছিল ট্রেনিংয়ের ওই দৃশ্যগুলো ঠিক ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন কি না ফারহান। বলিউড অভিনেতা। গিটার তুলে নিয়ে রকস্টার হওয়া হয়তো কঠিন নয় তাঁর পক্ষে। কিন্তু ম্যারাথন রেস-এ দৌড়নোর দম থাকবে তাঁর? যতই ছোটবেলায় ফারহান অ্যাথলিট থাকুন না কেন। যতই দিল্লির নেহরু স্টেডিয়ামে গিয়ে মিলখা তাঁর দৌড়ের ছন্দটা ঠিক করে দিয়ে আসুন না কেন। লন্ডনে ছবিটা দেখার আগে পর্যন্ত পেট গুড়গুড়ানি থামেনি। মনে মনে ভেবেছেন ফারহান কি পারবেন নিজেকে ভেঙে মিলখা হিসেবে গড়ে তুলতে? মনের মধ্যে এ সব প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খেয়েছে। ঠিকও করেছিলেন কিছু বিকৃতি হলে ছবি প্রকাশ করতে দেবেন না। “অ্যাথলিট হিসেবে অতটা দৌড়নো এক ব্যাপার। কিন্তু নায়কদের কাছে তা অকল্পনীয়। চিন্তা ছিল ফারহান পারবে কি না। ছবিটা প্রথম বার দেখে হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলাম। ট্র্যাকে ওই ভাবে দৌড়নোটা চাট্টিখানি কথা নয়...,” বলেন মিলখা। লন্ডনে ছবিটা দেখার পর বলেছিলেন ফিল্মের ৯৫ শতাংশ তাঁর জীবনের সঙ্গে মিলে গিয়েছে।

‘চক দে! ইন্ডিয়া’

আরও একটা বিশেষ সমস্যা ছিল পাকিস্তানকে ঘিরে। ‘চক দে! ইন্ডিয়া’ প্রসঙ্গে বলতে বলতে পুরনো সেই দিনের কথায় ফিরে যান নেগি। “এক সময় লোকে আমাকে তুঘলক বলে টিপ্পনী কেটেছে। বলেছিল আমি নাকি পাকিস্তানের কাছ থেকে পয়সা খেয়েছিলাম। যখন সোনা জিতেছিলাম, তখন বাড়ি ফিরে আমার স্ত্রীর সামনে ৩০ মিনিট একটানা কেঁদেছিলাম। দোজ ওয়্যার টিয়ারস অব রিডিম্পশন,” বলেন নেগি। আজও যখন শাহরুখকে ‘চক দে! ইন্ডিয়া’তে দেখেন, তখন নেগির মনটা আনন্দে ভরে ওঠে।

মিলখার ক্ষেত্রেও তাই। পাকিস্তানের ফেলে আসা সেই দিনগুলোর কথা আজও তাঁকে পীড়া দেয়। চোখ ভেসে যায় দেশভাগের বেদনাদায়ক স্মৃতি। আত্মীয়স্বজনকে হারানোর দুঃখ। ভিটেমাটি ছেড়ে ভারতে চলে আসা। কী ভাবে পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা এই যন্ত্রণা ফুটিয়ে তুলবেন পর্দায়? সেখানেও যদি হঠাৎ করে বলিউডি কায়দায় গান বাজতে শুরু করে? “এত স্পর্শকাতর একটা ব্যাপার! যখনই ভাবি, চোখ ভিজে যায়। ছবির ওই জায়গাগুলো নিয়ে ভয় ছিল,” বলেই ফেলেন তিনি।

মিলখা উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছেন মেরির ছবির জন্য। বলছেন ক্রীড়াবিদদের নিয়ে এ রকম আরও অনেক ছবি হওয়া দরকার।

তবে মেরির মনে মনে আশঙ্কা থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। মণিপুরের সেই ছোট্ট গ্রাম থেকে উঠে এসে বিশ্ববিখ্যাত হওয়া যেমন আশ্চর্যের, ঠিক ততটাই আনন্দের বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাকে নিজের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা। মুক্তির আগেই ছবির টিজার নিয়েই কত মাতামাতি চারিদিকে। তবু ভয় থেকেই যায়। দিল্লিতে ট্রেনিং ক্যাম্পের মাঝখানে এ বিষয়ে প্রশ্ন করাতে তিনি জানান, “গোটা ছবিটাই আমার কাছে স্পর্শকাতর। কারণ প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমি ফাইট করেই এগিয়েছি।”

শুধু বক্সিং নিয়েই তো তাঁর যুদ্ধ কম ছিল না। বিয়ের পরে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজদের হাতে খুন হয়েছিলেন মেরির শ্বশুর। তাঁর সমাজের অনেকেই চাননি বিবাহিত মেরি বক্সার হিসেবে জনপ্রিয়তা পান। আর প্রতিবাদেই নাকি এ রকম একটা পদক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রথমে মেরি বেশ ধাক্কা খেয়েছিলেন। গ্লাভস ছুড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্বামী ওনলের-এর কথা শুনে মত পাল্টান। নতুন পরিচালক উমঙ্গ কুমার কি এই সব ঘটনা ঠিক ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে পারবেন?

এমনটাও শোনা গিয়েছে যে ফারহানের মতো প্রিয়ঙ্কাও নাকি প্রচুর খেটেছেন চরিত্রের প্রস্তুতিপর্বে। ট্রেনিং করেছেন সত্যিকারের বক্সারদের সঙ্গেও। ঘুসিও কম খাননি। তবু ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বক্সিং রিঙে নিজে ঠিক মতো পাঞ্চটা দিতে পেরেছেন কি?

এক সময় নেগি চেয়েছিলেন মেরিকে নিয়ে ছবি করতে। মেরি অবশ্য এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ। বলছেন এ প্রসঙ্গে যা বলার, তা সরাসরি নেগিকেই জানাবেন। তবে নেগির বক্তব্য হল, “‘চক দে! ইন্ডিয়া’ মুক্তির পর ওর সঙ্গে নানা জায়গায় দেখা হত তখন। আমি মেরিকে বলেছিলাম যে প্রযোজক খুঁজে আমি ওর সঙ্গে যোগাযোগ করব। ও রাজিও ছিল তাতে। কিন্তু প্রযোজক খুঁজতে আমার একটু সময় লেগে গিয়েছিল। যখন মেরির কাছে গেলাম, তখন শুনি দু’দিন আগে সঞ্জয় লীলা বনশালি ছবিটা করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। আমার আর প্রজেক্টটা করা হল না,” বলেন নেগি। এমনটা নয় যে নিজে পরিচালনা করবেন ভেবেছিলা। শুধুমাত্র এ রকম একটা প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার ইচ্ছে নিয়েই এগিয়েছিলেন তিনি। “ছবিটা আমি বানালে টেকনিক্যাল দিকটায় জোর দিতাম বেশি। আশা করছি মেরির বায়োপিকে সেটাই থাকবে,” বলেন তিনি।

মেরিও নিশ্চয়ই সে আশাই করছেন। মণিপুরে হিন্দি ছবি রিলিজ করার রেওয়াজ নেই। এখনও ঠিক নেই মেরির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে কি না। তবে এটা ঠিক যে ছবি মুক্তির আগে মেরির টেনশন কমবে না। পর্দাই এখন তাঁর কাছে আয়না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE