বিচারকদের সঙ্গে ‘ম্যাক্স সানন্দা তিলোত্তমা ২০১৪’-র বিজয়ীরা। রবিবার, শহরের এক হোটেলে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
এর আগে কখনও জিন্সই পরা হয়ে ওঠেনি মেয়ের। মডেলিং, সে তো বহু দূরের কথা।
আর এক মেয়ে থাকে প্রত্যন্ত গ্রামে। শর্ট ড্রেস, হাই হিল? ভাবতেই যে বড্ড সাহস লাগে।
তবু একটা জিনিস ছিল। তিল তিল করে বোনা স্বপ্নের হাতছানি। যে স্বপ্নের জোরে ভয়-টয় সব কাটিয়ে ফেলে খোলামেলা পোশাকেও দৃপ্ত পায়ে হেঁটে যাওয়া যায় আলো ঝিলমিল র্যাম্পের এ মাথা থেকে ও মাথা। কয়েকশো জোড়া চোখের সামনে। ওদেরই খুঁজে নিল ‘ম্যাক্স সানন্দা তিলোত্তমা ২০১৪’। আরও এক বার। সাক্ষী রইল রবিবারের সন্ধ্যা, দ্য ললিত গ্রেট ইস্টার্নের হলঘর।
প্রতিবারের মতোই প্রাথমিক বাছাই পেরিয়ে পৌঁছে যাওয়া চূড়ান্ত পর্বে। এক মাসের গ্রুমিং পর্বে রূপ, স্বাস্থ্য, হাঁটাচলা, আদবকায়দার পাঠ নিয়ে শেষমেশ যখন পা রাখা চূড়ান্ত লড়াইয়ের মঞ্চে, ততক্ষণে ম্যাজিকের মতো পাল্টে গিয়েছে দশ কন্যে। এতটাই, যে তাদের আত্মবিশ্বাস মুগ্ধতা কুড়িয়েছে বিচারক শেফ শন কেনওয়ার্দি, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, সোহিনী বসুদের। তুচ্ছ হয়ে গিয়েছে ছোটখাটো ভুল।
রনি-মিতুলের কোরিওগ্রাফিতে সন্ধ্যার শুরুতেই মাতিয়ে দিয়েছিল দশ সুন্দরী। এর পরে একে একে ম্যাক্স ফ্যাশনের নানা রঙের আনারকলি কুর্তির ঝলমলে লুকে, সাদা-কালো, সোনালি-রুপোলি শর্ট ড্রেসের লাস্যে, শান্তনু গোয়েন্কার ইভনিং গাউনের মোহময়ী সাজে বারে বারেই নজর কেড়েছে প্রত্যেকে। এর ফাঁকেই অবশ্য জেতা হয়ে গিয়েছে প্রাথমিক পর্বের একগুচ্ছ প্রতিযোগিতার পুরস্কার, উত্তেজনাও বেড়ে গিয়েছে বেশ কয়েক গুণ।
সেরা সাত এর পর প্রশ্নোত্তর পর্বে। এবং স্মার্ট জবাবে নজর কেড়ে পৌঁছে যাওয়া চূড়ান্ত পাঁচের তালিকায়। ‘তোমার চোখে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা’র উত্তরে সেখানেই বাজিমাৎ তিন কন্যের তৃতীয় (সেকেন্ড রানার আপ) শ্রীময়ী ঘোষ, দ্বিতীয় (ফার্স্ট রানার আপ) রুচিতা বিশ্বাস এবং এ বছরের তিলোত্তমা শ্রীময়ী দে।
সঞ্চালক মীরের হাসিঠাট্টায় মোড়া এ সন্ধ্যার প্রাপ্তি ছিল আরও। সোমচন্দার গান এবং মিতুল সেনগুপ্তের কত্থক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy