সারা দিনে কাজের শেষ নেই। তবু যেন রাতে দু’চোখের পাতা এক হয় না। কখনও কখনও অতিরিক্ত ভাবনাচিন্তাই সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অথচ শরীর ভাল রাখতে ঘুমের কোনও বিকল্প নেই। এমনকি, মানসিক চাপ থেকেও খানিক মুক্ত হওয়া যায় লম্বা ঘুম দিলে। অনেকেই উদ্বেগ্বের সময় ঘন ঘন চা-কফিতে চুমুক দেন। ধূমপানও করেন অনেকেই।
আরও পড়ুন:
কিন্তু এমন অভ্যাস সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকেরা বলেন, চা-কফির মতো পানীয় বা ধূমপানের মতো অভ্যাস বিশেষত রাতের দিকে, ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। এতে ঘুম আসতে দেরি হয়।
হালকা নৈশভোজ এবং শোয়ার আগে উপযুক্ত পানীয়— এমন সমস্যার সমাধান করতে পারে। পুরোপুরি না হলেও, কিছুটা উপকার অবশ্যই মেলে এতে। বেশ কিছু পানীয় কর্টিসলের (স্ট্রেস হরমোন) ক্ষরণ কমিয়ে স্নায়ুকে শিথিল করতে বা বিশ্রামে সাহায্য করে। তার ফলে ভাল থাকে স্বাস্থ্য।
ক্যামোমাইল টি: ম্যাট্রিকারিয়া ক্যামোমিল্লা গাছের শুকনো ফুল থেকে তৈরি একটি ক্যাফেইন-মুক্ত ভেষজ পানীয় এটি। এই ফুলের চা ওষধিগুণের জন্য বহু বছর ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। স্নায়ুকে আরাম দিতে সাহায্য করে এটি। ঘুম ভাল হয়। বিপাকহার বৃদ্ধিতেও এই ফুল সহায়ক। লিভারের কার্যকারিতা ঠিক রেখে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায় পানীয়টি।
কাঠবাদামের দুধ: স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর কাঠবাদামের দুধ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজও থাকে এতে। ল্যাক্টোজ় না থাকায় উদ্ভিজ্জ দুধ খেলে হজমের সমস্যা হয় না। এর সঙ্গে এলাচগুঁড়ো মিশিয়ে নিলে গন্ধ যেমন ভাল হবে, তেমনই বাড়বে পুষ্টিগুণ। এলাচে থাকা উপাদান দুশ্চিন্তা কমাতে, স্নায়ুকে শিথিল করতে সাহায্য করে।
ঈষদুষ্ণ হিং-জল: জল হবে সামান্য গরম। খুব বেশি গরম হলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য হিং মিশিয়ে খেয়ে নিন। বাড়তি চিন্তাভাবনায় অনেক সময় হজমের গোলমাল হয়। হিং-জল খাবার হজম করতে সাহায্য করে। এতে পেটফাঁপাও কমবে। এতে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান। চিন্তাভাবনা কমাতে, স্নায়ুকে আরাম দিতে এই উপাদানটি সাহায্য করে।