প্লাস্টিক থেকে ধূমপান, অতিরিক্ত ভাজাভুজি খাবার— এমন অনেক কিছুই নীরবে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। মারণরোগ ক্যানসার চিকিৎসার দ্বারা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণযোগ্য। তা সত্ত্বেও এই অসুখের নাম শুনলে সকলেরই ভয় হয়।
তবে এমস এবং হার্ভার্ডে পড়াশোনা করা চিকিৎসক সৌরভ শেট্টি বলছেন, দৈনন্দিন খাবারই ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে পারে। ক্যালোফোর্নিয়ার চিকিৎসক সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয়। তিনি বলছেন, তিন খাবারের নাম।
গাজর
শীতকালীন সব্জিটি বছরভরই মেলে এখন। সারা বছরই এটি খাদ্যতালিকায় রাখা যায়। গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা এক প্রকার অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক সব্জিটি। গাজরে রয়েছে ফাইবার। বিপাকহার এবং হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে তা কোলন এবং পাকস্থলির ক্যানসারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। তবে চিকিৎসক বলছেন কাঁচা নয়, সেদ্ধ বা কম তেলমশলায় রান্না করা গাজর খেতে। সেদ্ধ গাজর হজম করা সহজ।
রসুন
রসুন কাটলে অ্যালিসিন পাওয়া যায়। রসুনের যে গন্ধটি তার মূলেই থাকে অ্যালিসিন। সালফার জাতীয় যৌগটি অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনে বাধা দেয়, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। তবে উচ্চ তাপমাত্রায় দীর্ঘ সময় ধরে রান্না করলে রসুনের গুণ কমে যায়। এ ব্যাপারে সতর্ক করছেন চিকিৎসক।
ব্রকোলি
ভিটামিন, ফাইবারে পূর্ণ সব্জিতে মেলে সালফোরাফেন নামে একটি উপাদান, যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিতে বাধা তৈরি করে। এতে রয়েছে বিভিন্ন রকম খনিজ। এমনিতেই সব্জিটি স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। চিকিৎসকের পরামর্শ অঙ্কুরিত ব্রকোলি খাওয়ার, কারণ এতে কয়েক গুণ বেশি সালফোরাফেন মেলে।
দীর্ঘ সময় ধরে পেটের স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করেছেন চিকিৎসক সৌরভ শেট্টি। তিনি মনে করেন, পেটের স্বাস্থ্য শুধু পেটের কথাই বলে না, বরং শরীরের অন্য প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতাও সঠিক ভাবে সম্পাদনে সাহায্য করে।