Advertisement
E-Paper

পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখবে, তেষ্টাও মেটাবে, জেনে নিন এমন তিন পানীয়ের সন্ধান

পেট ভাল রাখতে যে কোনও পানীয় নয়, বেছে নিন বিশেষ কয়েকটি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতি দিন যে কোনও এক ধরনের পানীয় চুমুক দিলেই ভাল থাকবে পেটের স্বাস্থ্য।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২১
পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখবে বিশেষ পানীয়। কী এমন থাকতে তাতে?

পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখবে বিশেষ পানীয়। কী এমন থাকতে তাতে? ছবি: সংগৃহীত।

গরমে গলদঘর্ম হয়ে দোকানে গিয়ে কার্বনেটেড ন্ডা পানীয় খোঁজেন, কিংবা চুমুক দেন চিনি দেওয়া শরবতে? গরমে এতে স্বস্তি মেলে ঠিকই— কিন্তু পেটের স্বাস্থ্যের বারোটাও বাজে। চিকিৎসকেরা বার বার সাবধান করেন কার্বনেটেড পানীয় খাওয়া একেবারেই ভাল নয়। এতে বাড়তি চিনি থাকে। একই বিষয় খাটে বাজারচলতি শরবতে। কৃত্রিম রং, চিনির ব্যবহারে শরবত সুস্বাদু হলেও তা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।

বাড়িতেও তেষ্টা মেটাতে কিংবা অতিথি আপ্যায়নে অনেকেই এমন শরবত বা পানীয় দেন। কিন্তু যদি পেটের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হয় ভাবতে পারেন অন্য ভাবেও। পুষ্টি শোষণে, হজম সহায়তা করে উপকারী ব্যাক্টেরিয়া। এমন ভাল ব্যাক্টেরিয়ায় সংখ্যা বৃদ্ধি করে প্রো-বায়োটিক। বানিয়ে নিন এমন পানীয় যা প্রো বায়োটিকে ভরপুর।

ছাঁস: লস্যি সাধারণত ঘন হয়। চিনির ব্যবহারের ফলে এতে ক্যালোরিও বেড়ে যায়। বদলে চুমুক দিন ছাঁসে। একে বাঙালির ঘোলও বলা যায়, তবে স্বাদে হয় নোনতা। টক দই খুব ভাল করে ফেটিয়ে জল মিশিয়ে তা পাতলা করে নেওয়া হয়। তার মধ্যে দিতে হয় ভাজা জিরে গুঁড়ো, সৈন্ধব লবণ, গোলমরিচ। উপর থেকে ছড়িয়ে দিতে পারেন কুচোনো কাঁচালঙ্কা, শুকনো পুদিনাপাতা।টক দইয়ে থাকে ল্যাক্টোব্যাসিলাস নামে ব্যাক্টেরিয়া যা পেটের পক্ষে উপকারী।

কাঞ্জি: বিট, কালো গাজর দিয়ে কাঞ্জি হয়। উত্তর ভারতের জনপ্রিয় এটি। পেটের পক্ষেও ভাল। স্বাদেও দারুণ। সাদা এবং কালো সর্ষে এবং জিরে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। যোগ করতে হবে স্বাদ মতো সৈন্ধব নুন। সমস্ত উপকরণ মিশে গেলে ঘরের তাপমাত্রায় থাকা ১ লিটার জল এতে যোগ করুন। জল, সর্ষে মিশিয়ে একটি পরিষ্কার কাচের পাত্রে মিশ্রণটি ঢেলে ঢাকনা দিয়ে রেখে দিন। ধুয়ে রাখা বিট কিংবা গাজর টুকরো করে কুচিয়ে মিশ্রণে ডুবিয়ে রাখুন।ঘরে বেশি আলো পড়ে না, এমন জায়গায় জলটি রেখে ২-৩ দিন। গরম যত বেশি হবে জল মজতে বা ফার্মেন্ট হতে তত কম সময় লাগবে। টক স্বাদ এসে গেলে বুঝতে হবে, কাঞ্জি প্রস্তুত। তবে যদি টক না হয়, আরও কয়েক ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। কাঞ্জি তৈরি হয়ে গেলে সেটি ফ্রিজে রাখুন, না হলে নষ্ট হয়ে যাবে।

আদা পানীয়: একটি কাচের পাত্রে আদা কুচি, চিনি এবং জল দিয়ে ঢাকনা আটকে দিন। ২-৩দিন মজতে দিন। আবার একটু আদা কুচি, চিনি যোগ করুন। আরও এক দিন মজতে দিন। তা হলেই তৈরি হবে প্রো বায়োটিক সমৃদ্ধ পানীয়।

Gut Health probiotic Drink
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy