শুরুতে তেমন বোঝা যায় না। তবে ধীরে ধীরে জানান দেয় শরীর। লিভার একবার বিগড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে গোটা শরীরেই। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে নিঃশব্দেই একটু একটু করে লিভারে ক্ষতি হতে থাকে। শুধু মদ্যপান নয়, ফ্যাটযুক্ত, উচ্চ ক্যালোরির অস্বাস্থ্যকর খাবার নিয়মিত খেলেও তার প্রভাব পড়ে লিভারে। সময়ে সচেতন না হলে, লিভার নষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটাও অসম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:
তবে শুধু অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস নয়, লিভারে দূষিত পদার্থ জমতে থাকলেও, প্রত্যঙ্গটি নষ্ট হতে পারে। ওষুধ, রাসায়নিক, অতিরিক্ত মদ্যপান-সহ নানা কারণে লিভারে ক্ষতিকর উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। সময়ে সতর্ক না হলেই, তা থেকে হতে পারে বিপদ। কারণ লিভার শুধু খাবার হজমে সাহায্য করে না, রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখা, রক্ত জমাট বাঁধতে না দেওয়া, চর্বি বা ফ্যাটকে ভাঙতে সাহায্য করা, হজমে সাহায্য করা, জরুরি পুষ্টি তৈরি করা, বিপাকহার ঠিক রাখা-সহ অসংখ্য কাজ করতে হয় প্রত্যঙ্গটিকে।
দৈনন্দিন অস্বাস্থ্যকর খাবার যেমন লিভার নষ্টের কারণ হতে পারে, তেমনই কিছু খাবার আছে যা খেলে লিভার ভাল থাকে। লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতে পাতে কোন ধরনের খাবার রাখবেন?
রসুন: ভারতীয় নানা খাবারে রসুনের ব্যবহার হয়। এটি শুধু খাবারে স্বাদ আনতেই সাহায্য করে না, রসুনের অ্যালিসিন নামক যৌগটি পরোক্ষে লিভার ভাল রাখে। এতে মেলে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা ফ্রি র্যাডিক্যালের হাত থেকে লিভারের কোষগুলিকে রক্ষা করে। প্রদাহ কমায়। সকালে উঠে ১-২ কোয়া রসুন চিবিয়ে খেলে উপকার বেশি হয়। কারণ, রান্নার সময় উচ্চতাপমাত্রার দরুণ রসুনের গুণ নষ্ট হতে পারে।
গাজর: গাজরে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস এবং বিটা ক্যারোটিন যা লিভারের ক্ষতি রুখতে সাহায্য করে। গাজরের স্মুদি লিভার পরিষ্কার রাখে, দূষিত পদার্থ বার করে দেয়। এতে মেলে ভিটামিন এ। লিভারের প্রদাহ কমাতে, পিত্তরসের জোগান ঠিক রাখতেও গাজরের ভূমিকা রয়েছে। লিভারের ক্ষতিগ্রস্ত পদার্থ ভাঙতেও সাহায্য করে গাজরে থাকা উপাদান।
ব্রকোলি: ব্রকোলিতে গ্লুটাথিয়ন নামে শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট রয়েছে। লিভারের প্রদাহ কমাতে, ক্ষতিগ্রস্ত কোষের পুনরুজ্জীবনে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টের ভূমিকা রয়েছে। এতে সালফার জাতীয় যৌগ এবং কোলাইন রয়েছে, যা লিভারে ফ্যাট জমতে বাধা দেয়। নিয়ম করে পরিমিত ব্রকোলি খেলে শুধু লিভার নয়, ভাল থাকবে শরী