Advertisement
E-Paper

অসুস্থতার কথা মুখে বলতে পারে না শিশুরা, তার মধ্যে ৫টি লক্ষণ দেখলে বাবা-মায়েদের সতর্ক হওয়া উচিত

সদ্যোজাত এবং অল্পবয়সিরা অনেক সময়েই অসুস্থতার কথা শব্দে ব্যক্ত করতে পারে না। সঠিক সময়ে লক্ষণ শনাক্ত করতে না পারলে বড় বিপদ ঘটতে পারে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:০১
5 critical warning signs in child\\\\\\\'s health that require immediate medical attention dgtl

ছোটরা অসুস্থতার কথা অনেক সময়েই শব্দে ব্যক্ত করতে পারে না। — ফাইল চিত্র।

অল্প বয়সে অনেক বিষয়ই শিশু বুঝিয়ে বলতে পারে না। তাই একজন অভিভাবক হিসেবে সন্তানের সমস্যার লক্ষণকে বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ। 'দ্য ল্যানসেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলেসেন্স হেল্‌থ' জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, সন্তানের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেক সময়েই অভিভাবকদের সচেতনতা রুখে দিতে পারে।

পুজোর মধ্যে যে কোনও পরিবারে ব্যস্ততা বাড়ে। তবুও ছোটদের প্রতি বাড়তি নজর দেওয়া উচিত। স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে আকস্মিক কোনও বিপদ এড়াতে কয়েকটি পরামর্শ জানা থাকলে সুবিধা হবে।

১) শিশুর যদি শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তা হলে তা অনেক সময়েই বোঝা যায় না। এ ক্ষেত্রে ঠোঁট বা মুখমণ্ডলের রং নীলাভ হয়ে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি দেখলে সাবধান হওয়া উচিত। কান্না, কথা বলতে সমস্যা হওয়া বা ঘন ঘন শিশুর ক্লান্তিবোধ দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ কম থাকার দিকে ইঙ্গিত করতে পারে।

২) শিশুদের জ্বর অনেক সময়েই বড় রোগের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে। তাই শিশুর ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি তাপমাত্রা থাকলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। আবার সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে দেহের তাপমাত্রা ৯৭.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নীচে থাকাও কোনো সংক্রমণের ইঙ্গিত দিতে পারে।

৩) সদ্যোজাতদের ক্ষেত্রে জ্বর যদি ওষুধ খাওয়ানোর পরেও না কমে, তা হলে সতর্ক হওয়া উচিত। জ্বরের সঙ্গে মাথা ব্যথা, আলোর দিকে তাকাতে না পারা, দেরিতে ঘুম ভাঙার মতো লক্ষণগুলি শনাক্ত করা উচিত। বমি বা মলের সঙ্গে রক্তপাত ঘটলেও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

৪) শিশুর শরীরে জলশূন্যতা তৈরি হলে তা কয়েকটি লক্ষণের মাধ্যমে বোঝা সম্ভব। যেমন ৮ ঘণ্টার বেশি যদি শিশু মূত্রত্যাগ না করে, কান্নার সঙ্গে যদি চোখের জল না বেরোয়, বা দৌড়ঝাঁপের পর ঘাম না নির্গত হয়, তা হলে সাবধান হওয়া উচিত।

৫) খেলতে গিয়ে শিসূদের চোট-আঘাত লাগে। তবে মাথায় আঘাত লাগলে তা মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ছোটদের বমি, অসংলগ্ন কথাবার্তা বা খিঁচুনি হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

Child Health Children Health Warning Health Tips Mindful Parenting
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy