সদ্য শুরু হয়েছে ধারাবাহিক ‘ভোলে বাবা পার করেগা’র শুটিং। আপাতত সেই ধারাবাহিকের কাজেই ব্যস্ততা তুঙ্গে অভিনেতা নীল ভট্টাচার্যের। মধুমিতা সরকারের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি। নতুন জুটি ইতিমধ্যেই দর্শকের মনে ধরেছে। ব্যস্ততার মাঝে কি পুজোর কেনাকাটা করার সময় পেয়েছেন নীল? হেসে জবাব দিলেন, ‘‘ওই আর কী!’’
ছোটবেলার পুজোর ক’টা দিন আলাদাই মেজাজে থাকতেন নীল। অভিনেতা বললেন, ‘‘এখন পুজোর কেনাকাটা নিয়ে তেমন আর উৎসাহ কই? পুজো এলেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায় এখনও।’’ পুজো উপলক্ষে পরিবারের সকলের থেকে নতুন জামা উপহার পেতেন নীল। অভিনেতা হেসে বললেন, ‘‘ভাইবোনদের মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই চলত, কার ক’টা জামা হল তা নিয়ে। শৈশবে পুজোর জামা গোনার মজাই ছিল আলাদা। এখন তো সারা বছর ধরেই কেনাকাটা লেগে থাকে। কোথাও যেন পুজোর ‘স্পেশ্যাল’ জামা কেনার উৎসাহ হারিয়েছি। তাই বলে একেবারেই কেনাকাটা করি না, তেমনটা নয়।’’
নীলের পুজোর ফ্যাশন মানেই সাবেকিয়ানার ছোঁয়া থাকবেই। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
জিন্স, টিশার্ট কিংবা ট্রাউজ়ার্স নয়, পুজোর দিনগুলিতে সাবেকি সাজই পছন্দ নীলের। অভিনেতা বললেন, ‘‘পুজোয় সময়ে পাঞ্জাবিটা মাস্ট। ওটা ছাড়া আমার পুজোর সাজ অসস্পূর্ণ। সারা বছর ধরেই তো পোশাক নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়, তবে পুজোর সময়ে আমার পাঞ্জাবি পরা চাই-ই-চাই।’’ অনলাইনে পোশাক কিনতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন নীল। তবে সময়-সুযোগ পেলে শপিং মল কিংবা দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করেন অভিনেতা। একান্তই হাতে সময় না থাকলে তখন তো অনলাইনের উপর ভরসা করতেই হয়।
আরও পড়ুন:
নীলের পুজোর পরিকল্পনায় স্ত্রী তৃণা সাহাও জুড়ে রয়েছেন। শুটিং নিয়ে ব্যস্ত তৃণাও। সঙ্গে রয়েছে নিজস্ব পোশাকের ব্র্যান্ডের কাজও। পুজোর কেনাকাটায় কি একে অপরকে সাহায্য করেন দম্পতি? নীল বললেন, ‘‘দু’জনেই নিজেদের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি। তাই দু’জনে মিলে পুজোর কেনাকাটা করব, সেই সুযোগ কম। তবে প্রতি বারই একে অপরের জন্য পুজোর উপহার কিনি। যে যখন সময় পাই, কিনে ফেলি।’’ তার সঙ্গেই যোগ করলেন, ‘‘উপহারটাই তো আসল, একসঙ্গেই কিনতে হবে এমন বাঁধাধরা নিয়মে নিজেদের বাঁধিনি।’’ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নীল-তৃণাকে দেখা যায় রং মিলিয়ে পোশাক পরতে। এ বারের পুজোতেও কি সেই রকম পরিকল্পনা রয়েছে? নীলের জবাব, ‘‘মাঝেমধ্যেই রংমিলন্তি হয়ে যায়। খুব যে পরিকল্পনা করে সেটা করা হয়, তেমনটা নয়।’’
পুজো মানে নীল-তৃণা দু’জনেই পরিবারের সকলের জন্য নিজেরা পছন্দ করে উপহার কেনেন। এ বারও সে রকম পরিকল্পনা রয়েছে। তবে দু’জনের ব্যস্ততার কারণে এখনও সেই কেনাকাটা হয়ে ওঠেনি। নীল হেসে বললেন, ‘‘হাতে আর বেশি সময় নেই, এখন দেখছি পুজোর শেষ দিন পর্যন্ত কেনাকাটা সারতে হবে।’’