গরমে প্রাণ ভরে রসালো মিষ্টি ফল খাবেন, তাতেও সমস্যা! মাথায় ঘুরতে থাকে হাজারো হিসাব আর চিন্তা। কার্বোহাইড্রেটসের মাত্রা বেশি নয় তো? ডায়াবিটিস থাকলেও কি খেতে পারবেন? ইত্যাদি বিবিধ প্রশ্ন। বিষয়টি খুব ভুলও না। এমন অনেক ফলই রয়েছে, যাতে প্রাকৃতিক শর্করা বা চিনি যেমন ফ্রুকটোজ়, সুক্রোজ়ের মাত্রা বেশি। সেই সব ফল ডায়াবিটিসের রোগীদের সামলে খেতে বলেন চিকিৎসকেরাই। কিন্তু কোন কোন ফল সেই সব বিধিনিষেধের পরোয়া না করেই খেতে পারেন ডায়াবিটিসের রোগীরা। বা তাঁরা যাঁরা ওজন কমানোর জন্য শর্করা জাতীয় খাবারে রাশ টানার চেষ্টা করছেন। জেনে নিন তেমনই ৫ ফলের নাম।
১। জাম
জামের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (যা খাবার খাওয়ার পরে রক্তে শর্করার মাত্রা কতটা দ্রুত বাড়বে, তা নির্ধারণ করে দেয়) কেবল ২৫। যা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য কোনও সমস্যাই তৈরি করে না। তা ছাড়া জামে আছে জাম্বোলিন নামে এক ধরনের উপাদান, যা শর্করাকে ভেঙে দ্রুত শক্তিতে বদলে দিতে পারে। তাই এই ফল ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য উপকারী।
২। পেয়ারা
পেয়ারায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার। ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। দ্রুত শর্করা বাড়তে দেয় না। অন্য দিকে ভিটামিন সি শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। যা ডায়াবিটিসের রোগীদের শরীরে বেশি থাকে।
৩। পেঁপে
পেঁপের গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও অনেক কম। পাশাপাশি এতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডসের মতো অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস। যা শরীরে ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা থাকে নিয়ন্ত্রিত।
৪। তরমুজ
তরমুজে মিষ্টি রস বেশি। কিন্তু ডায়াবিটিসের রোগীরা তরমুজ খেতে পারেন। কারণ তরমুজে মিষ্টি রসের পাশাপাশি ৯০ শতাংশ জলও থাকে। প্রোটিন এবং ফ্যাটের সঙ্গে মিলিয়ে ছোট এক বাটি তরমুজ খেলে তা ডায়াবিটিসের রোগীদের কোনও ক্ষতি করবে না।
৫। আপেল
মনে হতেই পারে আপেল তো শীত কালের ফল। কিন্তু আপেল গরমেও পাওয়া যায়। আপেলে রয়েছে পেকটিন নামের এক ফাইবার। যা খাবার থেকে শর্করা টেনে নেওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয়। পেটও ভরিয়ে রাখে দীর্ঘ ক্ষণ।