শীতকাল মানেই নানা ধরনের মিষ্টির হাতছানি। কেক, কুকিজ়ের মন কেমন গন্ধের আকর্ষণ এক দিকে আর অন্য দিকে মিষ্টির দোকানে সাজানো নতুন গুড়ের সন্দেশ, রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা ইত্যাদি। এ সময় গাজরের হালুয়া, তিলের খাজার মতো মিষ্টিও পাওয়া যায়। চোখের সামনে এত রকম স্বাদের সম্ভার থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা সহজ নয়। আর মুখ ফেরানো উচিতও নয়। কারণ, এই শীতে না খেলে আগামী গোটা বছরটা অপেক্ষায় থাকতে হবে ওই স্বাদ পাওয়ার জন্য। কিন্তু মিষ্টি খেয়ে ওজন বেড়ে যাওয়া আটকাবেন কী ভাবে?
দিল্লির পুষ্টিবিদ গুঞ্জন তানেজা জানাচ্ছেন, মরসুমি স্বাদ নিতে মিষ্টি খাওয়া যেমন পুরোপুরি বন্ধ করবেন না, তেমনই নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়েও খাবেন না। এর পাশাপাশি দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাসে যদি কিছু স্বাস্থ্যকর পরিবর্তন আনা যায়, তবে শীতের স্বাদ বাদ না দিয়েও রোগা হতে পারবেন।
গুঞ্জন বলছেন, কিছু সুপারফুড নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে—
১। সর্ষেশাক। এটি শীতের মরসুমেই পাওয়া যায় বেশি। এতে থাকা পুষ্টিগুণ রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ক্যালোরি কম হওয়ায় ওজন কমানোর ডায়েটে রাখা যেতে পারে।
২। চর্বিযুক্ত মাছ। শীতে নানা ধরনের মাছ পাওয়া যায় বাজারে। তার মধ্যে থেকে বেছে নিন তৈলাক্ত মাছ। কারণ তাতে থাকা ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের চর্বি ঝরাতে সাহায্য করবে।
৩। চিয়া বীজ। সরাসরি ওজন কমাতে সাহায্য না করলেও পেট ভরিয়ে রাখতে এবং শরীরকে প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা ও পুষ্টির জোগান দিতে পারে চিয়া বীজ, যা ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে দ্রুতগতি করতে পারে।
৪। যে কোনও ধরনের কপি। যেমন ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রাসেলস স্প্রাউটস ইত্যাদি। এতে ফাইবারের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। অথচ ক্যালোরির পরিমাণ কম। তাই শীতের খাবারের থালায় নানা ধরনের কপি দিয়ে তৈরি তরকারি এবং স্যালাড খান।
৫। ডিম। প্রোটিনের জোগান এবং একই সঙ্গে নানা ধরনের ভিটামিনেরও জোগান দেয় ডিম। এতে থাকা কোলিন শরীরে ফ্যাট জমতে দেয় না।