ক্ষতিকর জেনেও জাঙ্ক ফুডের প্রলোভন এড়ানো কঠিন। পিৎজ়া থেকে বার্গার, আলু থেকে মাংসের ভাজাভুজি— গন্ধেই জিভে জল আসে। স্বাদের কথা তো বলাই বাহুল্য।
খেয়ে ফেলার পর অপরাধবোধ হলেও ছাড়া কষ্ট। পুষ্টিবিদেরা বলেন, এই সমস্ত খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যধিক, ব্যবহার হয় অতিরিক্ত নুন, তা ছাড়া কার্বোহাইড্রেট থাকায় এই ধরনের খাবার খেলে রক্তে দ্রুত শর্করার মাত্রা বাড়ে। অর্থাৎ গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের তালিকায় উপরের দিকেই থাকে এগুলি।
আরও পড়ুন:
তবে ফ্রান্সের বায়োকেমিস্ট, তথা লেখক জেসি আঁসুস্প বলছেন, সহজ একটি কৌশল ভাজাভুজি বা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার পরেও রক্ত শর্করার মাত্রা বশে রাখতে সাহায্য করবে। বার্গার এবং ভাজাভুজি— দু'টিই খাবার হিসাবে খুব জনপ্রিয়। বার্গারের ও মুরগির মাংসের ফ্রাই একসঙ্গে না খেয়ে আলাদা দিনে খেতে বলছেন জেসি। একই সঙ্গে তাঁর পরামর্শ, বার্গার খাওয়ার আগে স্যালাড খাওয়ার। ভিনিগার দেওয়া স্যালাড খেলেও ভাল।
বার্গার বা ভাজাভুজিতে কার্বোহাইড্রেট থাকায় এই সব খাবার খেলে শরীরে দ্রুত গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। কিন্তু স্যালাড খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে পারে না। জেসি বলছেন, এর মানে তিনি স্যালাড খেয়ে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন না বা উৎসাহ দিচ্ছেন না। কিন্তু যাঁরা এই ধরনের খাবার খান, তাঁরা যদি শুরুতে একটু সবুজ সব্জি, স্যালাড খান— কিছুটা হলেও রক্তে শর্করা ধীরে মিশবে।
ডায়াবিটিসের চিকিৎসক অভিজ্ঞান মাঝিও অতীতে এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ফাইবার কিছুটা ছাঁকনির কাজ করে। কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার পরিপাকের পর দ্রুত রক্তে শর্করা মেশে। ফাইবার সেই গতিকে মন্থর করে। সেই কারণেই ডায়াবেটিকদের কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়া ভাল।
জেসির কথায়, যে কোনও খাবারের আগেই স্যালাড দিয়ে শুরু করাটা স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। ভাজাভুজি, অস্বাস্থ্যকর খাবার যথা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া ভাল। তবে নিয়মিত স্যালাড পাতে রাখলে শরীর ভাল থাকবে। খারাপ খাদ্যাভ্যাসে বদল আনা সম্ভব হবে।