রকুল প্রীত সিংহের নজরকাড়া চেহারার রহস্য কি লুকিয়ে পানীয়ে? সকাল থেকে উঠে শুধু রকমারি পানীয়েই চুমুক দেন তিনি। তার পর খান ঘি-কফি! বি-টাউনের নায়িকার সকালের রুটিন কিন্তু চমকে দেওয়ার মতোই!
সাক্ষাৎকারে অতীতেও রকুল প্রীত জানিয়েছিলেন, ছিপছিপে চেহারা ধরে রাখতে নিয়ম মানেন ঠিকই, তবে কড়া ডায়েট নয়। ভাত, রুটির মতো ঘরোয়া খাবার তাঁর পছন্দ। আর নজর দেন, জল খাওয়ার ব্যাপারেও।
সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে রকুল জানিয়েছেন, তিনি আয়ুর্বেদে ভরসা করেন। সুস্থ থাকতে তাই ভরসা রাখেন হলুদ, কালো জিরের মতো রকমারি ঘরোয়া উপাদানে, যা বহু দিন ধরেই হেঁশেলে জায়গা করে নিয়েছে।
আরও পড়ুন:
এখন ‘মোরিঙ্গা’ নিয়ে হইচই। কিন্তু সজনেপাতা বা ডাঁটা খাওয়ার চল ভারতে মোটেই নতুন নয়। সকালে রকুলের পানীয়ের তালিকায় থাকে কালোজিরে ভেজানো জলও, কারণ, কালোজিরে প্রদাহনাশক। শুধু তা-ই নয়, তালিকায় থাকে হলুদ থেকে মৌরি ভেজানো জলও। সকালে উঠেই কিছু ক্ষণ অন্তর রকমারি পানীয়ে গলা ভেজান তিনি। তার পরে খান পছন্দের ঘি-কফি।
পু্ষ্টিবিদেরা বরাবরই ঘুম থেকে উঠে জল খাওয়ার কথা বলেন। কারণ, রাতভর ঘুমের সময় জল খাওয়া হয় না। ফলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে পারে। তা ছাড়া, জল শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বার করে দিতেও সাহায্য করে।শারীরবৃত্তীয় কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পাদনের জন্যও পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি।
অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ঘুম থেকে উঠে তিনি প্রথমে শুধু জল খান। তার খানিক পরে সামান্য নুন মিশিয়ে জল খান। তালিকায় থাকে কালো জিরের জল, মৌরির জল, হলুদ জল, তার পরে ঘি-কফি। তবে কখনও কখনও মৌরির জল বা হলুদ জলের কোনও একটি খান তিনি।আর তার পরেই শুরু করেন শরীরচর্চা। এতে কোনও ফাঁকি থাকে না।
শরীরচর্চার পরে প্রাতরাশ সারেন নায়িকা। তাতে মূলত প্রোটিন খাবার থাকে। নায়িকার পছন্দ ডিম। কখনও গ্লুটেন ফ্রি পাউরুটির সঙ্গে, কখনও বা চিঁড়ের পোলাওয়ের সঙ্গে ডিম খান তিনি।
পুষ্টিবিদেরাও বলেন, ডিম হল অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। প্রোটিন থেকে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, জরুরি খনিজ, ভিটামিন সবই মেলে একটি ডিমেই। অনেকেই মনে করেন, নায়িকারা বুঝি ভাত-রুটি খান না। কিন্তু তবে রকুলের আস্থা ঘরোয়া খাবারেই। তিনি জানিয়েছেন, ডাল, তরকারি, মুরগির মাংস কিংবা মাছ আর তার সঙ্গে ভাত বা রুটি তাঁর পছন্দ। দুপুর এবং রাতে এই খাবার খান। তাঁর কথায়, রোজের এক মেনুতেও কোনও অসুবিধা হয় না।
পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসকেরা বার বার পর্যাপ্ত জল পানে জোর দেন। রকমারি পানীয় খেলেও শরীরে জলের অভাব দূর হয়। তবে পুষ্টিবিদেরা বলেন, একসঙ্গে ২-৩ গ্লাস জল না খেয়ে বরং একটু বিরতি দিয়ে জল খাওয়া দরকার।