ষাটের দোরগোড়ায় পৌঁছেও ঈর্ষণীয় চেহারা অক্ষয় কুমারের। হাত, পা, এমনকি পেটের পেশি এখনও সুগঠিত। অভিনেতা বলে কথা! ভাল চেহারা বজায় রাখা তাঁদের ‘কাজ’-এর শর্তের মধ্যেই পড়ে, বলবেন অনেকে। কিন্তু অক্ষয়ের শুধু চেহারা নয়, ফিটনেসও তাঁর সমকালীন অনেক অভিনেতার থেকে কিছুটা বেশি। এখনও অবলীলায় ক্যারাটের প্যাঁচ খেলতে দেখা যায় অক্ষয়কে। এমনকি, সিনেমার অ্যাকশন দৃশ্যেও যে তিনি সব সময় বডি ডাবল ব্যবহার করেন না, তা নিজেই জানিয়েছেন অক্ষয়। ৫৭ বছর বয়সে এমন ফিটনেসের জন্য কী করেন অক্ষয়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানিয়েছেন, তিনি শাস্ত্র মেনে খাওয়াদাওয়া করেন!
বিষয়টি কী রকম, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অক্ষয়। তিনি বলছেন, ‘‘শাস্ত্রে লেখা আছে, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পরে খাবার খাওয়া উচিত নয়। আমি সেই নিয়ম মেনেই চলি।’’ কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় খাওয়া মানে তো অনেক ক্ষণ কিছু না খেয়ে থাকা! রাতে ঘুমোনোর সময় খিদে পাবে না? এ প্রশ্নের জবাবে অক্ষয় জানিয়েছেন, খিদে যে কখনও- সখনও পায় না তা নয়। তবে খিদে পেলেই যা খুশি খেয়ে ফেলেন না। অক্ষয় জানাচ্ছেন, রাতে খিদে পেলে তিনি নির্দিষ্ট কিছু খাবার খান। যা হজম করতে শরীরের কোনও কষ্ট হবে না এবং রাতে শরীরের বিশ্রামের কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না।
কিন্তু খাবার খেলে শরীরের বিশ্রামে ব্যাঘাত ঘটবে কেন? অক্ষয় বলছেন, ‘‘রাতে খেয়ে তার কিছু ক্ষণের মধ্যে শুয়ে পড়লে শরীরের উপর কী পরিমাণ চাপ সৃষ্টি হতে পারে, সে ব্যাপারে অনেকেরই কোনও ধারণা নেই। ধরুন, রাত ১০টা-১১টা নাগাদ খেয়ে শুয়ে পড়লেন। সেই খাবার হজম হতে ৩-৪ ঘণ্টা লাগবে। ফলে আপনার গোটা শরীর যখন বিশ্রাম নিচ্ছে, তখন আপনার পরিপাকতন্ত্রকে কাজ করে যেতে হচ্ছে। এতে হজম প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলি প্রাপ্য বিশ্রাম পাচ্ছে না।’’
তাই ঘুমোনোর অন্তত চার ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া উচিত বলে মনে করেন অক্ষয়। তবে রাতে যদি খিদে পায়, তখন কী কী খাওয়া যেতে পারে তার একটি তালিকাও দিয়েছেন তিনি। যা অক্ষয় নিজে মেনে চলেন। অক্ষয় বলছেন, ‘‘রাতে খিদে পেলে আমি ডিমের সাদা অংশ বা গাজর বা মুলো খেয়ে নিই। অথবা স্যালাড খাই। কিংবা স্যুপ খেয়ে নিই। যাতে তা দ্রুত হজম হয়ে যায়।’’