কী কী দেখলে সতর্ক হবেন? ছবি: সংগৃহীত।
কয়েক দিন ধরে প্রস্রাবে বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষ করছিলেন। জল খাওয়ার পর সাময়িক স্বস্তি মিললেও পুরোপুরি সারছিল না। প্রাথমিক ভাবে ধরেই নিয়েছিলেন, মূত্রনালিতে সংক্রমণ হয়েছে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো রক্ত পরীক্ষা করানোর পর জানতে পারলেন, যে এক ধাক্কায় রক্তে ক্রিয়েটিনিন অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। অর্থাৎ কিডনি ঠিক ভাবে কাজ করতে পারছে না। পেশি থেকে যে সমস্ত দূষিত পদার্থ বের হয়, তা কিডনি ছাঁকতে না পারলে রক্তের মধ্যে মিশতে শুরু করে। তখনই শরীরে ফুটে ওঠে বেশ কিছু লক্ষণ।
কী কারণে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে?
কিডনি স্বাভাবিক ভাবে কাজ করা বন্ধ করে দিলে রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। তা ছাড়া কোনও কারণে কিডনিতে সংক্রমণ হলেও রক্তে এই উপাদান বেড়ে যেতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ননস্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এমন কিছু ওষুধ রয়েছে, যেগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনেক সময়ে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে যায়।
কী কী উপসর্গ দেখলে সতর্ক হবেন?
১) শরীরে হঠাৎ তরলের পরিমাণ বেড়ে গেলে শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় যাকে বলা হয় ‘ডিসনিয়া’। কিডনি বিকল হলে এই ধরনের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে।
২) কোনও ব্যক্তির রক্তে ক্রিয়েটিনিনের মাত্রা বেড়ে গেলে তিনি হঠাৎ অতিরিক্ত ক্লান্তি বোধ করতে পারেন। খুব বেশি কায়িক শ্রম না করেও বিধ্বস্ত লাগলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৩) রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে বার বার প্রস্রাবের বেগ আসে। তবে এটিই বহুমূত্র রোগের একমাত্র কারণ নয়। রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলেও এমনটা হতে পারে।
৪) রক্তে ক্রিয়েটিনিন বেড়ে গেলে অনেকেরই গা গুলোয়, বমি পায়। তাই গা গুলোলেই তা গ্যাস, অম্বল বা হজমের সমস্যা বলে ধরে নেওয়ার কোনও কারণ নেই।
৫) অনেক ক্ষণ পা ঝুলিয়ে বসে থাকলে পায়ের পাতা ফুলে যায়। আবার কিডনির গোলমালে শরীরে তরল জমতে শুরু করলেও পায়ের পাতা, পায়ের গোছ ফুলে উঠতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy