পুদিনা পাতার নানা গুণ। ছবি- সংগৃহীত
দোলের সন্ধ্যায় বন্ধুবান্ধবরা আড্ডা দিতে আসবেন। তাঁদের জন্য মুখরোচক কবাব তো বানিয়েছেন। সঙ্গে পুদিনা পাতার চাটনির ব্যবস্থাও রেখেছেন। প্রতি বারই কবাব খাওয়ার পর বেঁচে যাওয়া চাটনি ফেলেই দেওয়া হয়। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন, এই চাটনি নাকি শরীরের অন্য অনেক উপকারে লাগে। তাই ফেলে না দিয়ে নিত্যদিনের গ্যাস, হজমের মতো বেশ কিছু সমস্যার সমাধান করে ফেলা যেতেই পারে।
শরীরের কোন কোন সমস্যা উপশম করতে পারে এই পুদিনা
১) হজমের সমস্যা দূর করে
দোলের দিন হাবিজাবি খাবার খেয়ে যদি হজমের সমস্যা হয়, সে ক্ষেত্রে পুদিনার চাটনি কিন্তু কাজে আসতে পারে। পুদিনাতে থাকা ‘মিন্ট’ হজমে সহায়ক উৎসচেকগুলির ক্ষরণ বাড়িয়ে তোলে। গলা, বুকে জ্বালা ভাব কমায়। তবে খেয়াল রাকবেন চাটনিতে যেন লঙ্কা না থাকে। তা হলে কিন্তু উল্টে বিপত্তি বাড়বে।
২) র্যাশের সমস্যা দূর করে
পুদিনা পাতায় রয়েছে ‘স্যালিসিলিক অ্যসিড’, যা র্যাশ, ব্রণর সমস্যা দূর করতে পারে। দোলে রং খেলে যদি মুখে বা গায়ে র্যাশ বেরোয়, তা হলে বাটা পুদিনা পাতায়, নুন বা অন্যান্য মশলা মেশানোর আগেই খানিকটা তুলে ফ্রিজে রেখে দিন। ঠান্ডা হলে র্যাশ উপর মেখে নিন।
৩) ঋতুকালীন সমস্যা
প্রতি মাসে ঋতুস্রাব চলাকালীন শরীরে যে অতিরিক্ত ফোলাভাব দেখা যায়, তা অনেকটাই ফ্লুইড বা ‘ইডিমা’ জমার কারণে। এই ফোলাভাব দূর করতে পারে পুদিনা। ভাত, রুটি বা স্যুপের সঙ্গে এই পুদিনা পাতার চাটনি খেলে এই সমস্যা থেকে অনেকটা মুক্তি পাওয়া যায়।
৪) অন্ত্রের জন্য ভাল
পুদিনা পাতায় রয়েছে জ়ানথাইন অক্সাইড। এই যৌগটি অন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষায় সহায়তা করে। অন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক থাকলে, তার প্রভাব পড়ে বিপাক হারের উপরেও। ফলে বিপাকক্রিয়ার উপর নির্ভর করে, ডায়াবিটিসের মতো এমন বহু রোগ ঠেকিয়ে রাখতে পারে পুদিনা।
৫) প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে
পুদিনা পাতার এই চাটনির স্বাদ আরও বাড়িয়ে তোলার জন্য অনেকেই এর মধ্যে লেবুর রস, আমচুর পাউডার দেন। এই সব উপকরণের মধ্যেই যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। তাই প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করার পক্ষে সহায়ক এই চাটনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy