Advertisement
E-Paper

কোন খনিজের অভাবে চুল পড়ে? রুক্ষ বা পাতলা হয়ে যাওয়া চুলই বা কিসের ইঙ্গিত দেয়?

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নতুন চুল গজানো এবং বাড়বৃদ্ধির জন্য চুলের ফলিকলগুলিকে সক্রিয় রাখতে হয়। তার জন্য প্রতিনিয়ত ফলিকলে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের জোগান দিয়ে যেতে হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১১
Hair thinning and Hair breakage

চুল দেখে কী বোঝা যায়? ছবি: সংগৃহীত।

কী কী কারণে চুল পড়তে পারে, তা হয়তো অনেকেই জানেন। কিন্তু শরীরে কোনও ভিটামিন বা খনিজের অভাব হচ্ছে কি না, তা যে চুলের মান দেখে আন্দাজ করা যেতে পারে, সেটি অনেকেই জানেন না। বিষয়টি ঠিক কেমন?

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, নতুন চুল গজানো এবং বাড়বৃদ্ধির জন্য চুলের ফলিকলগুলিকে সক্রিয় রাখতে হয়। তার জন্য প্রতিনিয়ত ফলিকলে প্রোটিন, ভিটামিন এবং খনিজের জোগান দিয়ে যেতে হয়। এইগুলির অভাব হলেই তার প্রভাব পড়ে চুলে। কারও মুঠো মুঠো চুল উঠতে শুরু করে, কারও আবার চুল পাতলা হয়ে যায়। চুলের মান খারাপ হয়ে যাওয়ার নেপথ্যেও কিন্তু কোনও না কোনও খনিজের অভাবের ভূমিকা থাকতে পারে। চুলের কোন লক্ষণ রক্তে কী কী অভাবের ইঙ্গিত দেয়?

১) প্রোটিনের ঘাটতি:

রুক্ষ চুল কিংবা মাঝখান থেকে চুল ভেঙে যাওয়ার লক্ষণ হতে পারে শরীরে প্রোটিনের ঘাটতি। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল কেরাটিন। প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবারের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড। এই অ্যামাইনো অ্যাসিডের সাহায্যেই কেরাটিন সিন্থেসিস প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। তাই চুল এবং মাথার ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে পুষ্টিবিদেরা ডায়েটে প্রতি দিন প্রাণিজ প্রোটিন রাখতে বলেন। পাশাপাশি দুধ, ডাল, দানাশস্য, বাদাম কিংবা বীজ খেলেও প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব।

২) আয়রনের ঘাটতি:

দামি, ঘরোয়া, আয়ুর্বেদিক টোটকা— কোনও কিছুতেই চুল ঝরার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই ধরনের সমস্যাকে বলা হয় ‘টেলোজেন এফ্লুভিয়াম’। চুল পড়ার নানাবিধ কারণ থাকতে পারে। তার মধ্যে একটি হতে পারে রক্তে আয়রনের ঘাটতি। মাথার ত্বক, চুলের ফলিকলে অক্সিজেন পৌঁছে দেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে আয়রন। অতএব এই খনিজের ঘাটতি হলে চুল পড়ার পরিমাণ বাড়বে। তাই চিকিৎসকেরা ডায়েটে বেশি করে শাকসব্জি, ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

৩) জ়িঙ্কের ঘাটতি:

মাথার ত্বকের সেবাম ক্ষরণ, পিএইচের সমতা বজায় রাখতে সাহায্য করে জ়িঙ্ক। পাশাপাশি ফলিকল মজবুত করতেও সাহায্য করে এই খনিজটি। সুতরাং মাথার ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে রক্তে জিঙ্কের মাত্রা পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। কুমড়ো বীজ, বাদাম, সয়াবিন, কড়াইশুঁটি, ভুট্টা, বেদানা, সামুদ্রিক মাছের মতো খাবারে জ়িঙ্কের পরিমাণ বেশি। তাই ডায়েটে এই ধরনের খাবার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে রাখা যেতে পারে।

৪) বায়োটিনের ঘাটতি:

চুল তো পড়ছেই, সঙ্গে তা পাতলাও হতে শুরু করেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, ইংরেজিতে যাকে ‘হেয়ার থিনিং’ বলা হয়, তার নেপথ্যে বায়োটিন নামক খনিজের ভূমিকা থাকতেই পারে। ডিম, কাঠবাদাম, মিষ্টি আলু, কলার মতো খাবার নিয়মিত খেলে শরীরে বায়োটিনের ঘাটতি পূরণ হয়।

hair fall Iron Defeciency Protein Deficiency Hair Follicle
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy