Advertisement
E-Paper

বেশি আলু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ, কিন্তু শাঁকালু নয়! কেন খাবেন জেনে নিন

অন্ত্র ভাল রাখার এক এবং একমাত্র উপাদান হল ফাইবার। অন্ত্র ভাল থাকলে বিপাকহার ভাল হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে শাঁকালু।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:৪৩
Jicama

শাঁকালু খাবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।

ফলের মধ্যে আপেল, আঙুর কিংবা বেদানার যতটা কদর রয়েছে, শাঁকালুর তা নেই। তবে পেয়ারা, আম, কামরাঙার মতো রাস্তার ধারে শাঁকালু কেটে নুন, গোলমরিচ, কাসুন্দি মাখিয়ে খেতে কিন্তু মন্দ লাগে না।

পুষ্টিবিদেরা বলছেন, শাঁকালুতে জল রয়েছে ৯০.১ গ্রাম। ক্যালোরির পরিমাণ ৩৮। শাঁকালুতে প্রোটিনের পরিমাণ প্রায় ০.৭২ গ্রাম। কার্বোহাইড্রেট রয়েছে ৮.৮২ গ্রাম। ৪.৯ গ্রাম ফাইবার রয়েছে শাঁকালুতে। ক্যালশিয়ামের পরিমাণ ১২ মিলিগ্রাম। আয়রন রয়েছে ০.৬ গ্রামের মতো। ম্যাগনেশিয়ামের পরিমাণ ১২ মিলিগ্রাম। ফসফরাসের পরিমাণ ১৮ মিলিগ্রাম। পটাশিয়াম ১৫০ মিলিগ্রাম। ভিটামিন সি রয়েছে ২০.২ মিলিগ্রাম। সুতরাং পুষ্টিগুণের দিক থেকেও তা একেবারে ফেলনা নয়।

নিয়ম করে শাঁকালু খেলে তা শরীরের কোন উপকারে লাগে?

১) অন্ত্রের জন্য ভাল:

অন্ত্র ভাল রাখার এক এবং একমাত্র উপাদান হল ফাইবার। অন্ত্র ভাল থাকলে বিপাকহার ভাল হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে শাঁকালু।

২) ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে:

শিশু থেকে বৃদ্ধ— বেশির ভাগই টাইপ-২ ডায়াবিটিসে ভোগেন। নিয়মিত শাঁকালু খেলে রক্তে অতিরিক্ত গ্লুকোজ়ের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ২০১৫ সালে ‘জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড নিউট্রিশন’-এ প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, শাঁকালুতে ‘ইনিউলিন’ নামক একটি উপাদান রয়েছে, যেটি রক্তে বাড়তি শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৩) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ:

শাঁকালু খেলে শরীরে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের সমতা বজায় থাকে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখাও সহজ হয়। অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ শাঁকালু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

৪) হার্টের জন্য ভাল:

শাঁকালুতে ‘নাইট্রেট’-এর পরিমাণ বেশি। এই উপাদানটি রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। ফলে কার্ডিয়োভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে। ২০১৬ সালে ‘পাবমেড সেন্ট্রাল’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, নিয়ম করে শাঁকালু খেলে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে:

যে হেতু শাঁকালুতে ফাইবারের পরিমাণ বেশি এবং ক্যালোরির পরিমাণ কম, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও এই ফলটি দারুণ ভাবে সাহায্য করে। শাঁকালু খেলে ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতাও রুখে দেওয়া যায়।

Jicama Health Benefits
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy