সম্প্রতি প্রেমিক রোহন ঠক্করের সঙ্গে বাগ্দান সারলেন অভিনেতা অর্জুন কপূরের বোন অংশুলা কপূর। এক সময়ে নিজের দেহের গঠন, আকার নিয়ে হীনম্মন্যতায় ভোগেন বনি কপূরের বড় কন্যা। কিন্তু নিজের চোখে নিজেকে সুন্দর দেখাতে ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সে যাত্রায় সফল হওয়ার পর অংশুলা বাকিদেরও অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করেন। হঠাৎ সব খাওয়াদাওয়া ছেড়ে ওজন কমানোর পক্ষপাতী তিনি নন। বরং পুষ্টিকর খাবার খেয়ে শরীরচর্চা করে মেদ ঝরান অংশুলা।
সকলের সুবিধার জন্য অংশুলা এক বার নিজের খাদ্যতালিকা প্রকাশ করেছিলেন সমাজমাধ্যমে।
অংশুলা-রোহনের বাগ্দানের মুহূর্ত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম
প্রাতরাশ: একটি ডিম ও একটি টোস্ট, সঙ্গে থাকে চিনি ছাড়া কালো কফি আর অর্ধেক অ্যাভোকাডো। এর পর কখনও সখনও তিনি আরও এক কাপ কালো কফি খান।
মধ্যাহ্নভোজ: ১-২টি রাগির রুটি, ১০০-১৫০ গ্রাম বোনলেস চিকেন, এবং বড় এক বাটি সব্জি। অংশুলার কথায়, “আমি সব্জি নিয়ে খুঁতখুঁতে নই। যদি ভারতীয় প্রণালীতে রান্না করা হয়, তা হলে আমি প্রায় সব রকমের সব্জিই খেয়ে নিই। মাঝেমধ্যে ডালযুক্ত কিনোয়া বা পাস্তা, সঙ্গে সব্জির স্যালাড, কয়েকটি গ্রিলড চিকেন বা চিকেন উইংস।”
ওয়ার্কআউটের আগে ও পরে: খিদে পাচ্ছে কি না সেই বুঝে ফলের সঙ্গে বাদাম বা পিনাট বাটার খান। মাঝে মাঝে ডিম বা সব্জি দিয়ে বানানো স্যান্ডউইচ বা চিকেন-সব্জির কবাব অথবা প্রোটিন শেকের সঙ্গে কয়েকটা বাদাম, কিংবা ১-২টো থেপলা।
নৈশভোজ: সাধারণত রোস্টেড চিকেন বা তন্দুরি চিকেন, সঙ্গে গ্রিল্ড সব্জি। অথবা রাগির রুটি, বোনলেস চিকেন (ভারতীয় প্রণালীতে রাঁধা), সঙ্গে এক বাটি সব্জি।
রাতের স্ন্যাকস: অংশুলা বলেন, “আমি দেরিতে ঘুমোই। তাই মাঝে মাঝে গভীর রাতে খিদে পেলে প্রোটিন শেক, বা ছোট কোনও প্রোটিন-ভিত্তিক স্ন্যাকস, অথবা চকোলেট কেক খেয়ে থাকি।”