কালীপুজোর আমেজ কাটতে না কাটতেই এ বার ঘরে ঘরে শুরু হয়েছে ভাইফোঁটার প্রস্তুতি। বারো মাসে তেরো পার্বণের অন্তিম লগ্ন এসে উপস্থিত প্রায়। আর ভাইফোঁটা বা ভ্রাতৃদ্বিতীয়ায় বাঙালি বাড়িতে ভাইদের জন্য থাকে এলাহি আয়োজন। দিদিরা ভাইদের কত ভাল রেঁধে খাওয়াতে পারেন, তার প্রতিযোগিতা চলে বাড়িতে বাড়িতে।
ভাই আসছেন বলে কথা! পঞ্চব্যঞ্জন না রাঁধলে কি চলে? সাধ করে অনেক পদ তৈরি করবেন, অথচ ভাই কিছুই খেতে না পারলে তো মুশকিল! এখন ঘরে ঘরে ডায়াবিটিসের রোগী। আর ডায়াবিটিস মানেই খাবারে নানা রকম বিধিনিষেধ। ভাই যদি ডায়াবেটিক হন, তা হলে তো তাঁর জন্য সাধারণ পদ রাঁধলে চলবে না। এমন কিছু রাঁধতে হবে, যা খেলে ভাইয়ের শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না অথচ ভূরিভোজও হবে। ভাবছেন, এমন কী রাঁধা যায়? পুষ্টিবিদ এবং যাপনসহায়ক অনন্যা ভৌমিক জানালেন ভাইয়ের শরীরের খেয়াল রেখেও কী ভাবে উদ্যাপন করা যায় দিনটি। ডায়াবেটিক ভাইদের জন্য কী কী খাবার বানাতে পারেন, দিলেন সেই হদিস।
আসার সঙ্গে সঙ্গে ভাইকে দিতে পারেন ডাবের শরবত। দুপুরে খাওয়ার পাতে ৩০ গ্রাম চালের ভাত কিংবা পোলাও, ২টি তাওয়া ভেটকি, সঙ্গে বেশি করে স্যালাড। ভাই মটন খেতে পছন্দ করলে বানাতে পারেন মটন কষা, তবে ২টি পিসের বেশি নয়। ডায়াবিটিস থাকলেও একেবারে মিষ্টিমুখ না করালে কি চলে! বানিয়ে ফেলতে পারেন কাঁচা আমের চাটনি। তবে চিনি নয়, ব্যবহার করুন কৃত্রিম চিনি। শেষপাতে দোকানের মিষ্টি নয়, ছানা আর কৃত্রিম চিনি দিয়ে তৈরি করুন সন্দেশ। তাতে সামান্য গোলাপজল দিয়ে দিন আর গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজিয়ে পরিবেশন করুন গোলাপ সন্দেশ।