কেউ লঙ্কা খেতে পছন্দ করেন। আবার কেউ ঝাল সহ্য করতে পারেন না। কিন্তু পরিস্থিতি যদি কাউকে বাধ্য করে, তা হলে সমস্যা হতেই পারে। যেমন তাঁর প্রথম ছবি ‘ধড়ক’-এর শুটিংয়ে ফাঁপরে পড়েছিলেন ঈশান খট্টর। অভিনেতা জানিয়েছেন, ছ’ঘণ্টা টানা তাঁকে লঙ্কা খেতে হয়েছিল! জানলে অনেকেই অবাক হতে পারেন। কিন্তু এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে ইশান বিশেষ একটি পদ্ধতি অনুসরণ করে সফল হয়েছিলেন অভিনেতা। ভয়ানক ঝাল লাগলে আপনিও অনুসরণ করতে পারেন এই পদ্ধতি।
আরও পড়ুন:
কী ঘটেছিল
‘ধড়ক’ ছবিতে একটি খাবার খাওয়ার প্রতিযোগিতার দৃশ্য ছিল। সেখানেই ঈশানকে পর পর লঙ্কা খেতে দেখা যায়। ঈশান বলেন, ‘‘বাস্তবের সঙ্গে মিল রাখতে আমি আসল লঙ্কাই খেয়েছিলাম। কিন্তু একটানা লঙ্কা খাওয়া বেশ কষ্টকর।’’ কারণ একাধিক বার একই দৃশ্যের রি-টেক করতে হয়েছিল পরিচালককে। ঈশান জানিয়েছেন, ইউনিটের পক্ষ থেকে শটের ফাঁকে অভিনেতাকে ঘি এবং গুড় খেতে দেওয়া হয়। তার ফলে ঝাল কমে যাওয়ার পর আবার পরবর্তী টেক দেন তিনি। ঈশান হেসে বলেন, ‘‘ছ’ঘণ্টার শিডিউল। তাই আমার যাতে ঝাল কম লাগে এবং মারা না যাই, তার জন্যই প্রত্যেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন।’’
নেপথ্যে রয়েছে বিজ্ঞান
লঙ্কার মধ্যে থাকে ক্যাপসাইসিন, যা আমাদের মুখের মধ্যে ঝালের অনুভূতি তৈরি করে। কিন্তু এই বিশেষ উপাদানটি আবার তেলে দ্রবণীয়। ঘি সেখানে ক্যাপসাইসিনকে শোষণ করে নেয়। ফলে লঙ্কা খাওয়ার পরে ধীরে ধীরে ঝালের অনুভূতি কমতে শুরু করে। অন্য দিকে, গুড় এবং শর্করা ক্যাপসাইসিনকে দ্রুত গলিয়ে দেয়। তাই গুড় বা চিনির মিষ্টত্ব ঝাল কমাতে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, এ রকম পরিস্থিতিতে মিষ্টি ঝালের অনুভূতিকে দূরে সরিয়ে রাখে। তার ফলে আরও লঙ্কা খেলেও একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ক্যাপসাইসিন আর ব্যক্তির উপরে কাজ করে না। তবে ঘি এবং গুড় একসঙ্গে খেতে পারলে উপকার সবচেয়ে বেশি পাওয়া সম্ভব বলেই দাবি করেছেন পুষ্টিবিদেরা।