কোষ্ঠকাঠিন্যের কষ্ট বলে বোঝানোর নয়। যিনি ভুক্তভোগী, তিনিই জানেন। কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে খাবার মেপে খেতে হয়, তেলমশলা দেওয়া খাবার একেবারে ছেঁটে ফেলতে হয়। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যত বেশি খাওয়া যাবে, প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়া ততই সহজ হবে। সেই সঙ্গে বেশি করে জল খাওয়ারও পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে ওষুধ খেয়ে হোক বা ঘরোয়া টোটকা মেনে চলা, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন। নাছোড়বান্দা এই রোগটি থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে চাইলে, শুধু ওষুধ খেয়ে বা খাবার মেপে খেলে হবে না। তার জন্য প্রয়োজন শারীরিক কসরত। যোগাসনের বিশেষ কিছু পদ্ধতিতে সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব।
ফিটনেস প্রশিক্ষক অনুপ আচার্য জানাচ্ছেন, নির্দিষ্ট কিছু আসন নিয়মিত অভ্যাস করতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্য কেবল নয়, ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম’ থেকেও রেহাই পেতে পারেন। কী কী অভ্যাস করবেন?
ধনুরাসন
প্রথমে ম্যাটের উপর শরীর উপুড় করে শুয়ে পড়ুন। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিন। এ বার হাঁটু ভাঁজ করে দু’হাত দিয়ে গোড়ালি দুটো ধরতে হবে। এই সময় মাথা, বুক ও ঊরু যতটা উপরে তুলতে পারেন, ততই ভাল হবে। শরীরের সমস্ত ভার পেটের উপরে পড়বে। এই ভঙ্গিতে গোড়ালি দু’টি জুড়ে মুখ উপরের দিকে তুলুন এবং স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস নিন। নিয়মিত অভ্যাসে পেটের যে কোনও সমস্যার সমাধান হবে।
আরও পড়ুন:
ভুজঙ্গাসন
উপুড় হয়ে ম্যাটের উপর শুয়ে পড়ুন। দুই হাতের তালু কাঁধের পাশে মাটিতে রাখুন, কনুই থাকুক শরীর ঘেঁষে। এটি শুরুর অবস্থান। এ বার ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে নিতে মাথা ও বুক উপরের দিকে তুলুন। ভাঁজ করা হাত পাশে থাকবে। কিন্তু, চেষ্টা করবেন হাতে ভর না দিয়ে পেট-সহ শরীরের উপরের অংশ উপর দিকে তুলতে হবে। খেয়াল রাখবেন, নাভি যেন মাটি থেকে ৩ ইঞ্চি উপরে ওঠে। মাথা পিছন দিকে হেলিয়ে রাখুন। ঘাড়ে যাতে কিছুটা টান পড়ে, খেয়াল রাখবেন। তলপেটের পেট কমানো থেকে, গ্যস-অম্বলের সমস্যার সমাধানে খুবই কার্যকরী এই আসন।
পশ্চিমোত্তাসন
প্রথমে চিৎ হয়ে শুয়ে দু’ হাত তুলে মাথার দু’পাশে উপরের দিকে রাখুন। আস্তে আস্তে উঠে বসে সামনে ঝুঁকে দু’ হাত দিয়
জোড়া পায়ের বুড়ো আঙুল ধরুন। দু’টি পায়ের মাঝখানে কপাল ঠেকান। হাঁটু ভাঁজ হবে না।এ অবস্থায় শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।হজমশক্তি ভাল রাখতে ও পেটের মেদ ঝরাতে আসনটি রোজ করতে পারেন।কোষ্ঠকাঠিন্য-সহ যে কোনও পেটের সমস্যা কমাতে আসনটি উপযোগী।