শরীর নিয়ে সচেতন হলেও খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে কোনও রকম আপস করতে নারাজ বলিউড অভিনেত্রী করিনা কপূর। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে করিনা বলেন, ‘‘দ্বিতীয় সন্তান জাহাঙ্গীরের জন্মের পর ২৫ কেজি ওজন বেড়ে গিয়েছিল আমার। এক সময় আমার মনে হয়েছিল আমায় যে ভাবেই হোক ওজন কমাতে হবে। তবে সেই চিন্তা ছিল ক্ষণিকের। পরমুহূর্তেই আমার মনে হল, আমি যেমন আছি তেমনই সুন্দর।’’
একাধিক সাক্ষাৎকারে করিনা নিজেকে ভালবাসার কথা বলেছেন। নিজের ছবির সংলাপ ‘ম্যাঁয় আপনি ফেভারিট হুঁ’ অর্থাৎ 'আমি নিজেকে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি', এ কথা করিনা তাঁর বাস্তব জীবনেও মেনে চলেন। করিনা বলেন, ‘‘চটজলদি ওজন কমাতে আমি কখনওই উপোস করে থাকিনি। খাবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভাল। ভালমন্দ খেয়েই আমি ওজন ঝরিয়েছি।’’
আরও পড়ুন:
কেন উপোস করে ওজন ঝরানো বা ক্র্যাশ ডায়েট স্বাস্থ্যসম্মত নয়?
ক্র্যাশ ডায়েটে পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়া হয় না, ফলে ইটিং ডিজ়অর্ডার দেখা দিতে পারে। ক্র্যাশ ডায়েটের পর যে ওজন বাড়ে, সে ক্ষেত্রে মেদ জমা হয় পেটে বা তলপেটে। এই মেদের কারণে ডায়াবিটিস, হৃদ্রোগ, ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। পুষ্টিবিদের পরামর্শ ছাড়া কোনও ডায়েট শুরু করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ, ক্র্যাশ ডায়েটের ফল ভয়ানক হতে পারে।
মেয়েদের কাছে মা হওয়ার মতো আনন্দঘন মুহূর্ত আর নেই। তবে মা হওয়া তো মুখের কথা নয়! শরীর এবং মনের উপর দিয়ে যে পরিমাণ ঝড় বয়ে যায়, তা সহ্য করে নতুন মানুষটির মুখ দেখতে হয়। এই সময়ে মেয়েদের ওজন বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। সন্তানজন্মের পরেও চট করে শরীর আগের আকার ফিরে পায় না। তার জন্য যথেষ্ট কসরত করতে হয়। ডায়েট করতে পারলেও ভাল হয়। তবে, প্রসব করার পর নতুন মায়েদের শরীর অনেক রকম পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যায়। তা ছাড়া সন্তানকে নিয়মিত স্তন্যপানও করাতে হয়। তাই চট করে কড়া ডায়েটের মধ্যে যাওয়াও ঠিক নয়। শরীর দুর্বল থাকে, সে ক্ষেত্রে খুব বেশি কায়িক পরিশ্রম করতে গেলেও কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে।