অফিসে কাজের চাপ সামলাতে গিয়ে মানসিক চাপ বেড়ে যাচ্ছে। বাড়ি ফিরেও দেখছেন উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তা যাচ্ছে না। এতে যেমন অফিসেও কাজের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই পরিবারের সঙ্গেও সময় কাটাতে পারছেন না ঠিকমতো। এরই সঙ্গে দেখা দিচ্ছে ছোটখাটো বিষয়েও ভুলে যাওয়ার সমস্যা। সৃজনশীল কাজের জন্য যেমন চিন্তাভাবনা দরকার, সেগুলোও আর ঠিকমতো করতে পারছেন না। ভাবতে বসলেই দুশ্চিন্তা এসে মন-মগজ গ্রাস করছে। ফিটনেস প্রশিক্ষকদের পরামর্শ, মনের উপর চাপ কমাতে এবং বুদ্ধির গোড়ায় শান দিতে যোগাসনই অন্যতম বড় ভরসা হতে পারে। যদি দেখেন মানসিক চাপ বেড়ে গিয়েছে, তা হলে নিয়মিত অভ্যাস করুন যোগাসনের এক বিশেষ পদ্ধতি।
এমন কিছু যোগাসন আছে যা মানসিক চাপ কমিয়ে দিতে পারে অনেকটাই। নিয়মিত এইসব যোগাসন করলে ঘুমও ভাল হবে। আসলে এমন কিছু আসন করতে হবে যা মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দিতে পারে। ‘স্ট্রেস হরমোন’-এর ক্ষরণ যদি কম হয়, তা হলেই শরীরের ক্লান্তিভাবও দূর হবে এবং মনও ফুরফুরে থাকবে।
পাঁচ মিনিটের একটি আসনেই শান্ত হবে মন
পাঁচ মিনিটের একটি আসনেই শান্ত হবে মন
আসনটির নাম পদহস্তাসন। এই আসনটিও একাগ্রতা বাড়ানোর জন্য খুব ভাল। ব্যায়ামটি করার সময় সোজা হয়ে দাঁড়ান। দুই পায়ের মধ্যে দূরত্ব রাখুন। এ বার শ্বাস নিতে নিতে হাত দুটো উপরের দিকে তুলুন। ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে কোমর থেকে শরীরের উপরের অংশ সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে দিন। হাত দিয়ে গোড়ালি স্পর্শ করুন। খেয়াল রাখবেন, হাঁটু যেন না ভাঙে; টান টান থাকে। ২০-৩০ সেকেন্ড এই অবস্থায় থাকার পর আগের অবস্থায় ফিরে যান।
আরও এক আসন আছে, যা রপ্ত করতে পারলে মানসিক চাপ কমে যাবে অনেকটাই। আসনটির নাম সর্বাঙ্গাসন। এই আসনটি করতে প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি জোড়া করে উপরে তুলুন। এ বার দু’হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমন ভাবে ঠেলে ধরুন, যেন ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলরেখায় থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লেগে থাকবে। দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। প্রতি দিন ৩-৪ বার এই আসনটি করুন। এই আসন অভ্যাসে মন ফুরফুরে থাকবে, কাজে উৎসাহ ফিরবে।