গরমে ঘাম বসে বা সাধারণ শৌচালয় ব্যবহার করে গোপনাঙ্গে সংক্রমণ হয়েছে। ছত্রাক বা ব্যাক্টেরিয়া হানা দিলে ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। সারা ক্ষণ ত্বকে কেমন যেন অস্বস্তি হতে থাকে, চুলকায়। অনেকেরই যৌনাঙ্গে জ্বালা করে। এমনটা হলে অবশ্যই প্রথমে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার কথা। কিন্তু অনেক মহিলাই সঙ্কোচের কারণে এই সমস্যার কথা কাউকে জানাতে পারেন না। ঘরোয়া টোটকা হিসাবে নারকেল তেল ব্যবহার করেন। নারকেল তেল ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারলেও সংক্রমণের বিরুদ্ধে সত্যিই কি লড়াই করতে পারে?
আরও পড়ুন:
স্ত্রীরোগ চিকিৎসকেরা বলছেন, এ ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। যৌনাঙ্গে সংক্রমণের নেপথ্যে রয়েছে ‘ক্যানডিডা অ্যালবিকান্স’ নামক একটি ছত্রাক। সেই ছত্রাককে ধ্বংস করার ক্ষমতা নারকেল তেলের নেই। তা ছাড়া গোপনাঙ্গের ত্বক অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ওই নির্দিষ্ট অংশে কোনও রকম সংক্রমণ হলে তার সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা গোপনাঙ্গের রয়েছে। নারকেল তেল ব্যবহার করলে যে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, সে কথা ঠিক। তবে তা যৌনাঙ্গের ত্বকের জন্য প্রযোজ্য নয়। উল্টে যৌনাঙ্গে নারকেল তেল ব্যবহার করলে তার পিএইচের সমতা নষ্ট হয়। নিজেকে নিজে সারিয়ে ফেলার যে ক্ষমতা, তা-ও নষ্ট হয়।
তা হলে গোপনাঙ্গের সংক্রমণ ঠেকাবেন কী ভাবে?
যৌনাঙ্গের স্বাস্থ্য ভাল রাখার প্রাথমিক শর্ত হল, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। তবে, রাসায়নিক দেওয়া সুগন্ধি, তরল স্প্রে, সাবান ব্যবহার করা একেবারেই নিষিদ্ধ। প্রতি বার প্রস্রাবের পর পরিষ্কার জল দিয়ে যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলতে হবে। নরম, পরিষ্কার ওয়াইপস ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, তার মধ্যে যেন কোনও রকম রাসায়নিক বা সুগন্ধি না থাকে। এই সাধারণ, ঘরোয়া দাওয়াইতে যদি সংক্রমণজনিত সমস্যা না কমে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।