প্রতীকি ছবি। ছবি: সংগৃহীত
ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে ক্রমশ। সাম্প্রতিক করোনা স্ফীতি শিখর পেরিয়ে এসেছে ব্রিটেন। এই পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফেরার ছাড়পত্র দিয়েছে ব্রটেন সরকার। আগামী বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারি থেকেই ব্রিটেনে আর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক নয়। বুধবার, ২০ জানুয়ারি সরকারি এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন বরিস জনসন।
ইংল্যান্ডের মতো একটি দেশের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত হল? ব্রিটেনের পাশাপাশি ভারতেও কি কখনও এমন দিন আসবে যেদিন মাস্ক আর বাধ্যতামূলক থাকবে না? আনন্দবাজার অনলাইনের কোভিড কালে ‘ভরসা থাকুক’ফেসবুক ও ইউটিউব লাইভে এই প্রশ্নের জবাব দিলেন ফুসফুস রোগের চিকিৎসক সুস্মিতা চৌধুরী।
সুস্মিতা বললেন, ‘‘ব্রিটেনের পক্ষে এই সিদ্ধান্ত ঠিক কতটা সঠিক হল সেটা তো সেখানকার সার্বিক করোনা পরিস্থিতি বলবে। বরিস জনসন ঠিক না ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন সেটাও আমার বলার বিষয় নয়। কিন্তু যেটা আসল কথা সেটি হল যে লন্ডনের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ ইতিমধ্যেই ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে গিয়েছেন। ফলে ওমিক্রন একে অপরের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কাও এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে অনেকটা। কোভিড আবহে সব দেশগুলির মতো লন্ডনেও অর্থনীতি ভেঙে পড়েছে। করোনাকে সঙ্গে নিয়ে ভেঙে পড়া অর্থনীতিকে সচল করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে ব্রিটেন।’’
ভারতেও কি কখনও মাস্ক ছা়ড়াই ঘোরাফেরা করা যাবে, এমন দিন আসতে পারে?
সুস্মিতার উত্তর, ‘‘আমাদের দেশ আর লন্ডনের জীবনযাত্রার মধ্যে ফারাক আছে। কোভিড ঝুঁকি যাঁদের বেশি, অর্থাৎ বয়স্ক মানুষরা গণপরিবহনে ভিড়ের মধ্যে যাতায়াত করেন না। লন্ডনে সবাই আলাদা আলাদা থাকেন, তাঁরা ছেলেমেয়ে-নাতি-নাতনির সঙ্গে এক বাড়িতে থাকেন না। ফলে ওঁদের ওখানে একে অপরের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখাটা আমাদের দেশের তুলনায় অনেক সহজ। আমাদের করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বাঁচতে হবে। তবে আতঙ্কিত হয়ে বাড়িতে বসে থেকে নয়। বাইরে বেরোতে হবে। কাজ করতে হবে। সেই সঙ্গে সঠিক ভাবে মাস্কটাও পরতে হবে। সচেতন থাকলে নিশ্চয় আমরাও এই অন্ধকার সময় পার করব একদিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy