শুক্তো ছাড়া হেঁশেলে রাঙালু বা মিষ্টি আলু আগে খুব একটা দেখা যেত না। তবে এখন মানুষের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। তাই মধ্যবিত্ত বাড়ির হেঁশেলেও সাধারণ আলুর পরিবর্তে রাঙালুর ব্যবহার শুরু হয়েছে। কারণ, পুষ্টিগুণের দিক থেকে মিষ্টি আলুর স্থান বেশ উঁচুর দিকে। ভিটামিন এ, সি, ফাইবারে সমৃদ্ধ রাঙালু।
তবে পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রাঙালু তো বটেই, তার খোসাটিও পুষ্টিগুণের দিক থেকে কোনও অংশে কম নয়। ২০২১ সালে ‘অ্যাগ্রোনোমি’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, রাঙালুর গায়ের ওই লালচে, বেগনিরঙা খোসাটি ছাড়িয়ে নিলে সব্জিটি থেকে প্রায় ৬৪ শতাংশ ফাইবার বাদ চলে যায়। যদি পুরোমাত্রায় ফাইবারের পুষ্টিগুণ পেতে হয়, তা হলে কোনও ভাবেই খোসা বাদ দেওয়া যাবে না।
আরও পড়ুন:
রাঙালুর খোসায় কী কী আছে?
মাঝারি মাপের একটি রাঙালুর খোসায় প্রায় ১৩০ কিলোক্যালোরি থাকে। কার্বোহাইড্রেট থাকে প্রায় ৩০ গ্রাম। প্রোটিন থাকে ৩ গ্রামের মতো। ফাইবার থাকে ৫ গ্রাম। এ ছাড়া পটাশিয়ামের মতো খনিজও থাকে যথেষ্ট পরিমাণে।
রাঙালুর খোসা খাওয়া কি নিরাপদ?
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, মিষ্টি আলুর খোসা খেলে আলাদা করে শারীরিক কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু এ সব ক্ষেত্রে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। যে হেতু আলু মাটির তলায় জন্মায়, তাই ভাল করে জলে ধুয়ে তার পরেই তা খাওয়া উচিত। রাসায়নিক সার বা কীটনাশকের হাত থেকে বাঁচতে জলে এক চিমটে পটাশিয়াম পারম্যাঙ্গানেট দিয়ে রাঙালু খানিক ক্ষণ ভিজিয়েও রাখা যেতে পারে।