রন্ধনশিল্পের প্রতি রণবীর ব্রারের আকর্ষণ যে তাঁর পরিবার সূত্রেই, সে কথা স্পষ্ট একাধিক সাক্ষাৎকার থেকে। রোজের সাধারণ পানীয় চা বানানোর ক্ষেত্রেও অবহেলা বা ঔদাসীন্য ছিল না রণবীরের পরিবারে। ঋতু অনুযায়ী চায়ের ধরন পাল্টে যেত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রণবীর বলছেন, ‘‘আমার বাবার বানানো চা-ই আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দ হত। আমায় কিন্তু কখনও চায়ের রেসিপিটা খুলে বলেননি। তবে দেখতাম, চায়ে দু’বার দুধ দিতেন তিনি। গ্রীষ্মকালে চায়ে মৌরি দিতেন, আর শীতকালে যষ্টিমধু। আমার ঠাকুরমা বলতেন, এই রেসিপিগুলোয় শরীর ভাল থাকে।’’
এক এক অঞ্চলে চা এক এক ভাবে বানানো হয়। উপকরণ একই রকম হলেও চায়ের স্বাদ স্থান ও ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন হয়। রণবীরের বাবার তৈরি বিশেষ চায়ে যষ্ঠিমধু হালকা মিঠে স্বাদ আনে। মৌরি দিলে স্বাদে আসে সতেজতা।
গরমে ও শীতে বিশেষ এই রেসিপি কেন স্বাস্থ্যকর? ছবি: সংগৃহীত।
গরমে মৌরির উপকারিতা
গরমকালে চায়ে অল্প মৌরি ফুটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন রণবীর। মৌরি শরীরকে ঠান্ডা রাখে, হজমশক্তি বাড়ায় এবং অতিরিক্ত গরম বোধ থেকে মুক্তি দেয়। এতে চায়ের গন্ধেও সতেজতা আসে।
শীতে যষ্টিমধুর উপকারিতা
শীতের সময় রণবীরের বাবা চায়ে যষ্টিমধু মিশিয়ে খেতেন। প্রথমত, ঠান্ডার সময়ে গলায় আরাম হয়, কাশি-সর্দির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয় এবং শরীরের ভিতরের উষ্ণতা ধরে রাখে। যষ্টিমধুতে রয়েছে প্রদাহনাশী গুণ, যা ঠান্ডা লাগা বা গলা ব্যথায় বিশেষ ভাবে কার্যকর।
ঋতু অনুযায়ী চায়ে উপাদান বদলালে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধশক্তি বৃদ্ধি পায়। গ্রীষ্মে শীতল উপাদান যেমন মৌরি, তুলসিপাতা, বা এলাচ ব্যবহার করা ভাল। আর শীতে উষ্ণ উপকরণ, যেমন আদা, দারচিনি বা যষ্টিমধু শরীরকে আরাম দেয়।