Advertisement
E-Paper

কেবল কোষ্ঠকাঠিন্য নয়, ফাইবারের ঘাটতিতে জটিল রোগের কবলেও পড়তে পারেন! রইল ৭টি লক্ষণ

অনেকেই ভাবেন, ফাইবারের ঘাটতি হলে কেবলমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। কিন্তু এমস এবং হার্ভার্ড প্রশিক্ষিত আমেরিকানিবাসী গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট সৌরভ শেট্টি জানাচ্ছেন, ফাইবারের ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণ কোষ্ঠকাঠিন্য নয়।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:২০
ফাইবারের ঘাটতির ফলে শরীরে কী ঘটতে পারে?

ফাইবারের ঘাটতির ফলে শরীরে কী ঘটতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।

অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মতো ফাইবারও খাদ্যতালিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ফাইবার দু’প্রকারের হয়। জলে দ্রবণীয় এবং‌ জলে অদ্রবণীয়। জলে দ্রবণীয় ফাইবার জলের সঙ্গে মিশে গিয়ে জেলের মতো জিনিস তৈরি করে। কোলেস্টেরল এবং শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। জলে অদ্রবণীয় ফাইবার যথেষ্ট পরিমাণে মল সৃষ্টিতে সাহায্য করে। উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার অনেক ক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে পারে, পাশাপাশি কম ক্যালোরি বলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্যও খাদ্যতালিকায় ফাইবারের উপস্থিতি প্রয়োজন।

কিন্তু যথেষ্ট ফাইবার শরীরে না গেলে নানা ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অনেকেই ভাবেন, ফাইবারের ঘাটতি হলে কেবলমাত্র কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়। কিন্তু এমস এবং হার্ভার্ড প্রশিক্ষিত আমেরিকানিবাসী গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট সৌরভ শেট্টি জানাচ্ছেন, ফাইবারের ঘাটতির প্রাথমিক লক্ষণ কোষ্ঠকাঠিন্য নয়। এই সমস্যার শুরুর দিকের উপসর্গ হল, খাওয়ার খানিক বাদেই আবার খিদে পাওয়া।

তবে তা ছাড়াও শরীরে ফাইবারের অভাব হলে, আরও কয়েকটি লক্ষণ দেখা দেয়—

১. হজমের সমস্যা

সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল কোষ্ঠকাঠিন্য। ফাইবারের অভাবে মলত্যাগের সময়ে অস্বস্তি বা মলত্যাগ ঠিক মতো না হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। পাশাপাশি, পেট ফাঁপা এবং গ্যাসও হতে পারে।

২. ওজন বৃদ্ধি

খাবার খাওয়ার পর ফাইবারের কারণে অনেক ক্ষণ পেট ভরে থাকে। ফলে সামগ্রিক ক্যালোরি নিয়ন্ত্রণে থাকে। কিন্তু যদি কম ফাইবারযুক্ত খাবার খাওয়া হয়, তা হলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। ফলে ওজনও বৃদ্ধি পেতে থাকে। উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবারে ক্যালোরি কম থাকে এবং অল্পেতেই পেট ভরে যায়।

৩. কোলেস্টেরলের মাত্রায় হেরফের

দ্রবণীয় ফাইবার রক্তপ্রবাহে কোলেস্টেরল শোষণ কমাতে সাহায্য করে। ফলে কম ফাইবার গ্রহণ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে। সামগ্রিক ভাবে হার্টের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে এই ঘটনা।

৪. রক্তে শর্করার ওঠানামা

অপর্যাপ্ত ফাইবারের কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি এবং হ্রাস পেতে পারে, যা বিশেষ করে ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

৫. অর্শ

কম ফাইবার গ্রহণের কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হয়। এর ফলে অর্শের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। কারণ মলত্যাগের সময়ে চাপ পড়লে মলদ্বারের চারপাশের শিরাগুলিতে চাপ পড়তে পারে। তাতে জটিল রোগের ঝুঁকি বাড়ে।

৬. ক্লান্তি

পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার গ্রহণ না করলে এবং পুষ্টির অপর্যাপ্ত শোষণের কারণে গায়ে শক্তি কমে যেতে পারে।

৭. জাঙ্ক ফুডের প্রতি আকাঙ্ক্ষা

কম ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে থাকলে অস্বাস্থ্যকর খাবারের প্রতি আকাঙ্ক্ষা বেড়ে যেতে পারে। ফাইবার খিদে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, স্বাভাবিক ভাবেই এর অভাবে অতিরিক্ত খিদে পেতে পারে যখন-তখন।

Fibre Enriched Vegetables Healthy Foods
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy