দোরগোড়ায় শীতকাল। এই মরসুমে সকালবেলা গরম গরম ফুলকো লুচি, সাদা আলুর তরকারি আর একখানি মিষ্টি মানে রসনাতৃপ্তি তুঙ্গে। কিন্তু মনের আনন্দে লুচি খাওয়ার পর যদি বদহজমে গোটা দিন নষ্ট হয়? অথবা যদি ক্যালোরি বেড়ে যাওয়ার ভয় নিয়ে খেতে হয়? তা হলে সবটাই বৃথা। কিন্তু যদি ফ্যাট আর তেল নিয়ে দুশ্চিন্তার অবকাশই না থাকে? রন্ধনপ্রণালীর এমন কিছু কৌশল রয়েছে, যা দিয়ে লুচি থেকে তেল কমিয়ে দেওয়া যায়। তৎক্ষণাৎ উধাও হতে পারে লুচির তেলচিটে ভাব।
স্বাস্থ্যকর লুচি বানানোর একাধিক কৌশল আবিষ্কৃত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু স্বাদের সঙ্গে আপস না করে, স্বাস্থ্যকর লুচি বানানো খানিক কষ্টকর কাজ। তবে নয়া টোটকায় খুব বেশি ঝক্কি পোহানোর প্রয়োজন নেই। হেঁশেলের দু’টি সহজলভ্য উপকরণ থাকলে নিমেষে সফল হবেন।
কী এই নতুন কৌশল?
লুচি ভাজার আগে তেলে এক চিমটি নুন আর অল্প বেকিং সোডা মিশিয়ে দিতে হবে। তাতে ময়দা বা আটার মধ্যে খুব বেশি তেল শোষিত হবে না। কম তেলেই ফুলেফেঁপে উঠবে লুচি। অথবা ময়দা বা আটা মাখার সময়ে অল্প নুন মিশিয়ে দিতে হবে। তাতেও কাজ হবে।
কী ভাবে কার্য়কর হচ্ছে এই টোটকা?
নুন তেলের সঙ্গে মিশে লুচির গায়ে এক প্রকার সুরক্ষার আস্তরণ তৈরি করে। নুন গরম তেলের সংস্পর্শে এসে লুচির বাইরের আর্দ্রতা দ্রুত বাষ্পে পরিণত করে। এতে তেল ভিতরে ঢুকতে পারে না। ফলে লুচি ভাজা হয় সুন্দর ভাবে কিন্তু তেল শোষণ করে না। গরমে বেকিং সোডা থেকে তৈরি হওয়া বুদ্বুদ লুচির মধ্যে ছোট ছোট ফাঁপা জায়গা করে দেয়, যা তেল প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে কম তেলে ভাজা হয় লুচি। উপরন্তু এই টোটকায় লুচি নরম এবং মুচমুচে, দুই-ই হয়।
কম তেলে লুচি ভাজার আরও কয়েকটি টিপ্স
১. ভাজার আগে তেল ভাল ভাবে গরম হয়েছে কি না দেখে নিন। ঠান্ডা তেলে লুচি দিলে বেশি তেল টেনে নেয়।
২. একই তেল বার বার ব্যবহার করবেন না। পুরনো তেল লুচিকে ভারী করে তোলে।
৩. ভাজার পর লুচি টিস্যুতে রাখলে বাড়তি তেল সহজে ঝরে যাবে।