Advertisement
E-Paper

Diabetes: শিশুকে ডায়াবিটিস থেকে দূরে রাখতে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করবেন

বাড়ির কোনও এক জন সদস্যও যদি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে পরিবারের ছোটদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২২ ১৩:১২
১০ বছরের শিশুও ডায়াবিটিসে ভুগছে!

১০ বছরের শিশুও ডায়াবিটিসে ভুগছে!

বাড়ির কোনও সদস্যের ডায়াবিটিস থাকলে অনেক সময় পরিবারের ছোট সদস্যদেরও ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। বাড়ির কোনও এক জন সদস্যও যদি ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, সে ক্ষেত্রে পরিবারের ছোটদের প্রতি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।

চিকিৎসকদের মতে, টাইপ-১ ডায়াবিটিসের জেরে শিশুদের বার বার মূত্রত্যাগ, অতিরিক্ত খিদে, তৃষ্ণা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি যে কোনও ভাইরাল সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে পড়াশোনা, খেলাধুলো-সহ নানা কাজে। এমনকি, সর্দি-কাশির সমস্যা বাড়ে। ঋতু পরিবর্তনের সময় বাড়তি ভোগান্তির ঝুঁকিও থাকে। বর্ষা কিংবা শীত শুরুর আগে জ্বর, কাশি, গলা ব্যথার মতো সমস্যা হয়। বার বার সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হলে ফুসফুসের ক্রনিক সমস্যা হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। খাদ্যাভাস ও বংশানুক্রমিক সমস্যাকেই মূলত টাইপ ১ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ হিসাবে নির্ধারিত করা হয়।

শহুরে খাদ্যাভাসের কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের তালিকাই দীর্ঘ থাকে। শিশুদের জলখাবারে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পরিমাণ চকলেট, মিষ্টিজাতীয় খাবারই দেখা যায়। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে। তার উপরে অধিকাংশ শহুরে শিশু, কিশোর-কিশোরী খেলাধুলোয় অভ্যস্ত নয়। দিনের অধিকাংশ সময়েই তারা বসে কাজ করে। ভিডিয়ো গেম খেলে কিংবা ইন্টারনেটেই অবসর সময় কাটায় তারা। এই অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জেরেই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

ডায়াবিটিস থেকে কী ভাবে দূরে রাখবেন শিশুকে?

১) এই আধুনিক জীবনে বাচ্চাদের খেলার মাঠের বদলে ভিডিও গেমের রিমোট হাতে বেশি দেখা যায়। যা শিশুর সঠিক বিকাশে বাধা দেয়। তাই প্রতি দিন অন্তত ঘণ্টাখানেক দৌঁড়ঝাপ করা উচিত।

২) বয়সের তুলনায় শিশুর ওজন যদি বেশি থাকে তা হলে সর্বপ্রথম নিয়ন্ত্রণে আনুন ওজন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে শিশুর উপযুক্ত একটি ডায়েট চার্ট বানিয়ে নিতে পারেন।

৩) চকোলেট হোক বা কেক, বাচ্চারা মিষ্টি জাতীয় খাবাব খেতে সব সময়ই ভালবাসে। বাড়ির বড়দের খেয়াল রাখতে হবে যাতে শিশু অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার না খেয়ে ফেলে।

৪) শিশুর সকালের প্রাতরাশে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের সঙ্গে বেশি করে ফলও রাখুন।

৫) শিশুর স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে প্রত্যেক দিন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। সময় মতো খাবার খেলে হজমজনিত সমস্যা থেকে দূরে থাকবে শিশু।

diabetes Type 1 Diabetes Type 2 Diabetes
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy