Advertisement
E-Paper

ভাইরাল সংক্রমণ না কি কঠিন কোনও অসুখ? কফের রং বলে দেবে কতটা অসুস্থ আপনি

সংক্রমণের মাত্রা কতটা গুরুতর, তা নাকি বলে দিতে পারে কফের রং। তবে শ্লেষ্মা মাত্রেই ক্ষতিকর নয়। তা ফুসফুস, শ্বাসনালির ভিতরের এলাকা আর্দ্র রাখে। যে কোনও রকম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শ্লেষ্মা। কফের রং স্বচ্ছ হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই, তবে রং বদলে গেলেই মুশকিল।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০২৫ ১৬:১৫
কঠিন অসুখকে সাধারণ সর্দি-কাশি ভেবে অবহেলা করছেন না তো?

কঠিন অসুখকে সাধারণ সর্দি-কাশি ভেবে অবহেলা করছেন না তো? ছবি: সংগৃহীত।

বর্ষার মরসুমে সংক্রমণের ঠেলায় সর্দি, কাশি, জ্বর কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। বাড়িতে এক জন সুস্থ হলে অন্য জন অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। গলায় কফ দলা পাকিয়ে থাকছে, বুকের ভিতর ঘড়ঘড় করছে। সেই কফ যখন ফেলা হয় তখন তার রং হয় বিভিন্ন রকম। কফ দিয়েই কিন্তু শরীরের হাল-হকিকত জানা সম্ভব। সংক্রমণের মাত্রা কতটা গুরুতর, তা নাকি বলে দিতে পারে কফের রং। তবে শ্লেষ্মা মাত্রেই ক্ষতিকর নয়। ফুসফুস, শ্বাসনালির ভিতরের এলাকা আর্দ্র রাখে। যে কোনও রকম সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে শ্লেষ্মা। কফের রং স্বচ্ছ হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই, তবে রং বদলে গেলেই মুশকিল।

কফের রং দেখে কী ভাবে রোগ চিনবেন?

হলুদ: শরীরে বড় রকম কোনও সংক্রমণ হলে সাধারণত কফের রং গাঢ় হলুদ হয়ে যায়। বিশেষ করে সাইনাসের সমস্যা বাড়লে এমন হয়। তাই কফের রং এমন হলে সাবধান। দ্রত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

কালো: আপনার কফের রং হালকা কালো হলে বুঝতে হবে, আপনি অত্যন্ত দূষিত পরিবেশে বসবাস করছেন। এ ছাড়া, মিউকরমাইকোসিস নামক রোগের ক্ষেত্রে কফের রং কালচে হয়ে যায়। মিউকরমাইকোসিস খুব বিরল ধরনের ছত্রাকজনিত সংক্রমণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই সংক্রমণের কারণে মৃত্যুর হার প্রায় ৫০ শতাংশ।

বাদামি: যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান করেন তাঁদের কিন্তু কফের রং বাদামি হতে পারে। মূলত দীর্ঘ দিন ধরে ধূমপান করার অভ্যাস থাকলে ফুসফুসের পরিবর্তন হয়। ব্রঙ্কাইটিস হওয়ারও আশঙ্কা থাকে। এতে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কফ জমা হতে থাকে। কখনও কখনও কফের সঙ্গে রক্তও ওঠে।

গোলাপি বা লাল: অনেক সময়ে ফুসফুসে এক ধরনের তরল জমা হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম ‘এডিমা’। দীর্ঘ দিন ধরে বুকে কফ বসে থাকার কারণে সংক্রমণ হয়। আর এই সংক্রমণের ফলে এক ধরনের তরল ফুসফুসে জমা হতে থাকে। তার জেরেই শ্লেষ্মার রং বদলে যায়। এ ছাড়া, অনেক সময়ে নাকের টিস্যু ছিঁড়ে গিয়ে রক্তপাত হয়। সে কারণেও কফের রং লালচে হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া নিউমোনিয়া, ফুসফুসের সংক্রমণ, ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও কফের রং লালচে হয়ে যেতে পারে।

সাদা: থকথকে, একটু বেশি সাদা, ঘন শ্লেষ্মা হলেও কিন্তু সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এমনটা হলে জানবেন, আপনার নাকের কোষগুলি সংক্রমণজনিত কারণে ফুলে গিয়েছে। ফলে আগের মতো স্বাভাবিক ভাবে শ্লেষ্মা আর বাইরে আসতে পারছে না। পর্যাপ্ত আর্দ্রতার অভাবে শ্লেষ্মার প্রকৃতি এমন হচ্ছে। ব্রঙ্কাইটিস বা সাইনাসের কারণেও এমন হতে পারে।

Viral infection Chest Infection
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy