সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে বেশ কিছু বদল এসেছে। যার হাত ধরে বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন অসুখও। এমনই একটি অসুখ হল নন-অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। মদ্যপান করলেই যে শরীরে ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ বাসা বাঁধতে পারে, এ ধারণা ভুল। শীরের অ্যালকোহল উপস্থিত না থাকলেও এই অসুখ হতে পারে। তা ছাড়া ব্যস্ততা যত বাড়ছে, ততই বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁকও বেড়ে চলেছে। ঘরে বানানো হালকা তেল-মশলা দেওয়া খাবার এখন আর মুখে রোচে না অনেকেরই। এমনকি শিশুরাও ভাজাভুজি, রাস্তা থেকে কেনা খাবার খেতেই বেশি অভ্যস্ত। তাই কমবয়সিদের মধ্যেও লিভারের রোগ বেড়ে চলেছে।
ফ্যাটি লিভার নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে বিশ্বজুড়েই। এ দেশেই লিভারের রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। চিকিৎসক অরুণাংশু তালুকদার জানাচ্ছেন, লিভার ভাল রাখতে হলে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতেই হবে। রোজ এমন কিছু খাবার প্রায় প্রত্যেকেই খান, যা লিভারের অসুখের কারণ হয়ে উঠছে। কোন কোন খাবার ডায়েট থেকে ছেঁটে ফেললে লিভার ভাল থাকবে, তা জেনে রাখা জরুরি।
কোন কোন খাবার বাদ দিলে লিভার ভাল থাকবে?
ফ্রুক্টোজ বেশি আছে এমন খাবার
প্রথমেই পড়ছে চিনি। কৃত্রিম চিনিও কম ক্ষতিকর নয়। লিভারের রোগ থেকে বাঁচতে চিনি পরিমিতই খেতে হবে। তা ছাড়া নরম পানীয়, বেশি মিষ্টি দেওয়া হেল্থ ড্রিঙ্ক, এনার্জি ড্রিঙ্ক, প্যাকেটজাত ফলের রসে চিনির মাত্রা অত্যন্ত বেশি।
আরও পড়ুন:
বীজ থেকে তৈরি তেল
রান্নায় তেল দেওয়া জরুরি। পুষ্টিবিদেরাই বলছেন রোজ কিছুটা তেল শরীরের জন্য দরকারিও। কিন্তু তেল কোলেস্টেরলও কারণ। তাই তেল ব্যবহার করতে হবে মেপেজুপে। চিকিৎসক বলছেন, কিছু বীজ থেকে তৈরি তেল ক্ষতিকারক। সর্ষের তেল ছাড়া নানা রকম সাদা তেল রান্নায় ব্যবহার করা হয়। কেউ রাইস ব্র্যান অয়েল ব্যবহার করেন। কেউ বেছে নেন সয়াবিনের তেল, সূর্যমুখীর তেল বা ভুট্টার তেল। তা ছাড়া ক্যানোলা বা রেপসিডের তেলও ব্যবহার করা হয়। এইসব তেল শরীরে ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে।
ব্যথার ওষুধ কম খান
বেশ কিছু বেদনানাশক ওষুধ লিভারের ক্ষতি করে। কিছু প্যারাসিটামল বা কোলেস্টেরলের ওষুধও লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে। ঘুম না হলে অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘুমের ওষুধ খেতে শুরু করেন। এই অভ্যাসের কারণে লিভারের জটিল রোগে ভুগতে হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে হবে।