কম বয়সে হাড়ের কর্মক্ষমতা যতটা সচল থাকে, বয়স হলে স্বাভাবিক ভাবেই তা কমতে থাকে। প্রতীকী ছবি।
বয়স বাড়লে নানা ধরনের রোগবালাই বাসা বাঁধে শরীরে। তার মধ্যে অন্যতম হাড় সংক্রান্ত সমস্যা। কম বয়সে হাড়ের কর্মক্ষমতা যতটা সচল থাকে, বয়স হলে স্বাভাবিক ভাবেই তা কমতে থাকে। হাড়ও তুলনায় কমজোরি হয়ে পড়ে। কারণ বয়স বাড়লে শরীরে উপকারী নানা ভিটামিনের পরিমাণ কমতে থাকে। ক্যালশিয়ামের পরিমাণও একেবারে তলানিতে এসে ঠেকে। হাড় ভঙ্গুর ও দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই জন্য বয়স বাড়লে চিকিৎসকরা দুগ্ধজাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ার কথা বলে থাকেন। তবে শুধু খাবার খেলেই হবে না। সঙ্গে চাই উপযুক্ত শরীরচর্চাও।
বয়স বাড়লে কোন ধরনের শরীরচর্চায় জোর দেবেন?
হাঁটাহাঁটি
প্রতি দিন হাঁটাহাঁটি করার অভ্যাস ক্যালোরি ঝরাতে সাহায্য করে। বার্ধ্যক্যে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সামগ্রিক ভাবে শরীর সুস্থ রাখতে হাঁটাচলা করা জরুরি। সময়ের অভাবে অনেকেরই রোজ হাঁটতে যাওয়া হয় না। শরীরের যত্ন নেওয়ার নির্দিষ্ট কোনও সময় হয় না। শরীরের যত্ন নিতে দিনের যে কোনও সময়ে অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে নেওয়া জরুরি।
যোগাসন
বয়স বড়লে হাঁটুর ব্যথা, গাঁটের ব্যথা, পেশির নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। একটা বয়সের পর থেকে জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করাটা শরীরের জন্য খানিক ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই বাড়িতেই নিয়ম করে যোগাসন, প্রাণায়াম, ধ্যান করা প্রয়োজন। বয়সকালে সুস্থ থাকে যোগাসনের বিকল্প কিছু নেই। যোগাসনের পাশাপাশি ধ্যান করলেও মন শান্ত থাকে, মানসিক চাপ কমে।
সাঁতার
ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরচর্চা করা মানেই জিমে যাওয়া নয়। কেউ চাইলে জিমে যাওয়ার বদলে নাচ করতে পারেন, সাইকেল চালাতে পারেন। সাঁতারও কাটতে পারেন। নিয়ম করে সাঁতার কাটলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। সাঁতার কাটলে হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুস ভাল থাকে। যাঁরা নিয়মিত সাঁতার কাটেন হৃদ্রোগের ঝুঁকি তাঁদের অনেক কম থাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy