Advertisement
E-Paper

রান্নার আগে কাঁচা মাংস জল দিয়ে ধুলেই বিপদ! কী ক্ষতি হচ্ছে জানলে চমকে যাবেন

কাঁচা মুরগির মাংসে ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর এবং স্যালমোনেল্লার মতো ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। এই সব জীবাণু পেটে যাওয়া মানেই বিষক্রিয়া হবে। তা হলে জল দিয়ে মাংস ধোয়াকে ক্ষতিকর কেন বলা হচ্ছে?

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জুন ২০২৫ ১৮:২৯
Experts warn that washing raw chicken with water can be dangerous

জলের নীচে রেখে মাংস ধুলেই বিপদ। ছবি: ফ্রিপিক।

বাজার থেকে মাংস কিনে এনে নিশ্চয়ই কলের জলের নীচে রেখে দেন কিছু ক্ষণ। তার পর হাত দিয়ে হোক বা গ্লাভস পরে, ভাল করে মাংস জল দিয়ে ধুয়ে ফেলেন। এই অভ্যাসকেই ক্ষতিকর বলছেন গবেষকেরা। মাংস ভাল করে না ধুয়ে রান্না করলে তা আবার শরীরের জন্যও ক্ষতিকর। কারণ, কাঁচা মুরগির মাংসে ক্যাম্পাইলোব্যাক্টর এবং স্যালমোনেল্লার মতো ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। এই সব জীবাণু পেটে যাওয়া মানেই বিষক্রিয়া হবে। তা হলে জল দিয়ে মাংস ধোয়াকে ক্ষতিকর কেন বলা হচ্ছে?

আমেরিকার ‘ইউএসডিএ ফুড সেফটি অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিস’-এর গবেষকেরা দাবি করেছেন, বেশির ভাগ লোকজনই এই ভুলটি করেন। বাজার থেকে মাংস কিনে এনেই তা কলের জলের নীচে ধোয়া শুরু করে দেন। এতে তিন রকম সমস্যা হয়, ১) জল দিয়ে ধুলে কাঁচা মাংসে থাকা ব্যাক্টেরিয়া ও পরজীবী নষ্ট হয় না, ২) মাংসে থাকা সেই সব ব্যাক্টেরিয়া হাতে লেগে তা শরীরে ঢুকে যায় ৩) যে জায়গায় মাংস ধোয়া হচ্ছে সেই জায়গাটি তো বটেই, আশপাশেও ছড়িয়ে পড়ে সেই সব ব্যাক্টেরিয়া। এর অর্থ হল, রান্নাঘরে যদি সেই সময়ে রান্না করা খাবার থাকে বা মশলাপাতির কৌটো কাছাকাছি থাকে, তা হলে তাতেও কিন্তু ঢুকে পড়বে সেই সব জীবাণু। খালি চোখে তা দেখাও যাবে না, বোঝা তো যাবেই না। অজান্তেই সংক্রামক ব্যাক্টেরিয়ারা ছড়িয়ে পড়বে গোটা রান্নাঘরে।

সালমোনেল্লা, ক্যাম্পাইলোব্যাক্টরের মতো জীবাণু থেকে আন্ত্রিক, কলেরার মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তা ছাড়া সরাসরি ত্বকের সংস্পর্শে এলে নানা রকম চর্মরোগও হতে পারে। যে বাসনে মাংস ধুচ্ছেন, সেটিতেও বাসা বাঁধে ওইসব ব্যাক্টেরিয়া। গবেষকেরা একে বলছেন ‘ক্রস কন্ট্যামিনেশন’।

তা হলে উপায় কী?

১) প্রথমত, কাঁচা মাংস হাত দিয়ে ধরা ঠিক নয়। গ্লাভস থাকলে ভাল, না হলে হাতে প্লাস্টিক জড়িয়ে নিতে পারেন।

২) জলের মধ্যে ভিনিগার মিশিয়ে সেই জলে কাঁচা মাংস ঢাকা দিয়ে ভিজিয়ে রাখুন কিছু ক্ষণ। এর পর জল ফেলে দিন। এই ভাবে মাংস জীবাণুমুক্ত করা যেতে পারে।

৩) ঘরে পাতিলেবু থাকলে তা দিয়েও কাজ হবে। জলে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে তাতে মাংস ভিজিয়ে রাখুন। এতেও জীবাণুমুক্ত হতে পারে।

৪) কাঁচা মাংস এমন বাসনে ঢালবেন না, যাতে অন্য তরকারি বা ভাত রাখেন। এর জন্য আলাদা পাত্র রাখাই ভাল। সেই পাত্রটিও নুন-গরম জলে ধুতে হবে।

৫) যে জায়গায় মাংস রাখছেন বা ধুচ্ছেন, সেই জায়গাটি ভাল করে নুন-গরম জল বা ভিনিগার দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এতে সংক্রমণ ঘটার ভয় থাকবে না।

৬) জলে লেবুর রস বা ভিনিগার মিশিয়ে তাতে কাঁচা মাংস ভিজিয়ে রেখে সেই জলটা ফেলে দিন। এর পর পরিষ্কার জল ভরে মাংস আগে উচ্চ তাপমাত্রায় সেদ্ধ করুন। এতে জীবাণু ছড়ানোর ভয় থাকবে না। এর পর সেই মাংস যে পদ্ধতিতে খুশি রান্না করে ফেলুন।

Bacterial Diseases
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy