উৎসবে সবচেয়ে বেশি অত্যাচার চলে দু’টি পায়ের উপর। ঠাকুর দেখা, খাওয়াদাওয়া, মণ্ডপভ্রমণ— ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটা আর হাঁটা। তার উপর নতুন জুতোয় ফোসকা পড়ার ঝুঁকি অথবা হাই-হিল পরে পায়ে ব্যথা। এ দিকে পুজোর প্রথম দু’দিনেই যদি পা আর সঙ্গ না দেয়, তা হলে বাকি পুজো কাটবে কী ভাবে? অনেকেরই পা ফুলে যায়, গোড়ালি ব্যথা করে, ফোসকা পড়ে। তাই পায়ে আরাম না থাকলে আনন্দই মাটি!
অষ্টমী, নবমী, দশমীর মণ্ডপ পরিক্রমা যাতে মাটি না হয়, তার জন্য এখন থেকেই পায়ের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। দেখে নিন, কী ভাবে পায়ের যত্ন নিলে আরামও পাবেন, আবার মন খুলে উপভোগও করতে পারবেন পুজো। প্রয়োজন কয়েকটি সহজ কৌশলের।
১. পায়ে ব্যথা শুরু হয়ে গেলে নতুন জুতো আগামী কয়েক দিনের জন্য বাক্সবন্দি করে ফেলুন। পরিবর্তে আরামদায়ক জুতো পরুন। যতই সাজগোজের প্রয়োজন হোক, হাঁটার সময় যেন আরাম হয়, তার খেয়াল আপনাকেই রাখতে হবে।
২. নতুন জুতো যদি পরতেই হয়, তা হলে মোজা পরে জুতো পরুন। তাতে ফোসকা পড়ার সম্ভাবনা কমবে। তবে এমন ভ্যাপসা আবহাওয়ায় এই উপদেশ মেনে চলা কঠিন বটে। তবে ফোসকা যদি পড়েই যায়, তবে পরিষ্কার করে ব্যান্ডেজ করে বেরোনো উচিত।
৩. হাঁটাহাঁটির মাঝে মাঝেই বিশ্রাম নিতে হবে। অনেক ক্ষণ হাঁটার পর একটু বসে পা টানটান করে দিন। যেখানে পারবেন, পা একটু উঁচু করে রাখুন। পায়ের আঙুল হালকা স্ট্রেচ করে টান দিন। এতে মাংসপেশির খিঁচ ধরা কমে।
৪. ব্যথা বেশি হতে থাকলে প্রথমেই পা-কে বিশ্রাম দিন। হাঁটাচলা কমিয়ে ফেলুন। সুযোগ থাকলে গাড়িতে চেপে যাতায়াত করুন।
৫. ঘোরার মাঝেও পায়ের যত্ন নিতে হবে। ব্যাগে একটু ময়েশ্চারাইজ়ার বা ফুট ক্রিম রাখুন। মাঝেমধ্যে ব্যথা বা ফোসকার জায়গায় মেখে নিন।
৬. বাড়ি ফিরে পায়ে ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন। ১০ মিনিট মতো দিনে কয়েক বার এই নিয়ম মেনে দেখুন। অথবা গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখলেও ভাল লাগে।
৭. রাতে শোয়ার আগে গোড়ালি, পায়ের পাতায় হালকা মালিশ করুন। পা ফাটা থাকলে মলম লাগিয়ে সারিয়ে ফেলুন।
পা ভাল থাকলেই পুজোর মজা দ্বিগুণ হবে! তাই শুধু জামাকাপড় বা মেকআপ নয়, পায়ের দিকেও একটু নজর দিন।