Advertisement
E-Paper

মিষ্টি ছাড়তে পারবেন না, শরীরচর্চার সময় নেই, তার পরেও ফিট থাকবেন কোন উপায়ে?

মিষ্টি খেয়ে, ঘড়ি ধরে শরীরচর্চা না করেও ফিট থাকা যাবে? সুস্থ থাকার সময়োপোযোগী পরামর্শ দিলেন ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষক।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ২০:২৩
ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকার যুক্তিসম্মত উপায় বলছেন ওজন কমানোর  প্রশিক্ষক।

ব্যস্ত জীবনে সুস্থ থাকার যুক্তিসম্মত উপায় বলছেন ওজন কমানোর প্রশিক্ষক। ছবি: সংগৃহীত।

ব্যস্ত জীবনে নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। তার উপরে অফিসের কাজ সামলে সংসারের ঝক্কি। শরীরচর্চা কখন হবে, ঘুমই যে ঠিক করে হয় না! স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াই যায়, কিন্তু খাওয়ারই যেখানে সময় নেই, সেখানে হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাই তো খেতে হবে, বলবেন অনেকেই। এ কথা মানছেন সমাজমাধ্যম প্রভাবী ওজন নিয়ন্ত্রণের প্রশিক্ষক আক্কানি সালাকো। তবে ব্যস্ত সময়েও যাতে ওজন বশে রাখা যায়, শরীর ভাল থাকে, সেই উপায় বাতলালেন তিনি যুক্তিসম্মত উপায়ে। তিনি বলছেন, শুরুটা সহজ ভাবে হওয়া উচিত। ছোট ছোট লক্ষ্যমাত্রা থাকলে তা পূরণ করা সহজ হয়।

মিষ্টি, ভাজাভুজি: ব্যস্ত সময়ে হাতের কাছে যা পাওয়া যায়, সেটাই খেতে হয়। আবার, মিষ্টি, ভাজাভুজি, মুখোরোচক খাবার অনেকেরই পছন্দ। হঠাৎ করে সে সব খাবারে দাঁড়ি টানা বেশ কঠিন। সে কথা বলছেন না ফিটনেস কোচ। বদলে তাঁর পরামর্শ, সপ্তাহে দু’দিন মিষ্টি, ভাজাভুজি পুরোপুরি বন্ধ করে দিন। সপ্তাহভর যদি সেটা করা না-ও যায়, দু’দিন অবশ্যই ভাজাভুজি থেকে দূরে থাকুন।

শরীরচর্চা: ব্যায়াম, যোগ, ধ্যান, প্রাণায়াম করতে হবে ভাবলেই আলস্য আসে অনেকেরই। তা ছাড়া সময় বার করাও সহজ নয় ব্যস্ত জীবনযাপনে। কিন্তু ফিটনেস কোচের বক্তব্য, দিনরাতের পরিশ্রম জলে যাবে শরীর সু্স্থ না থাকলে। তার চেয়ে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন আধ ঘণ্টার জন্য শরীরচর্চা করুন। ছোটদের মধ্যেও এমন অভ্যাস তৈরি করানো ভাল।

খাদ্যাভ্যাস: দিনের শুরুটা অনেকে পুষ্টিকর খাবার দিয়ে শুরু করলেও দুপুর থেকেই সেই রুটিনে ইতি প়ড়ে। কখনও ব্যস্ততার জন্য ঠিক করে খাওয়াই হয় না। এটা কোনও কাজের কথা নয়, বলছেন ফিটনেস কোচ। তাঁর পরামর্শ, দুপুর ১টায় সাধারণ অথচ পুষ্টিকর খাবার রাখা দরকার তালিকায়। তাতে প্রোটিন থাকবে, দু’-তিন রকম সব্জি থাকলেই চলবে। তবে এমন খাবার বেছে নিতে হবে যার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম অর্থাৎ যে খাবার খেলে রক্তে চট করে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় না। সন্ধ্যা ৬টার সময় আবার খেতে বলছেন তিনি। তখন পছন্দের যে কোনও খাবার বেছে নেওয়া যায়। তবে তাতে যেন প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেটের সামঞ্জস্য বজায় থাকে। এতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কমবে।

শুরুটা এ ভাবে করলে, ধীরে ধীরে ভাজাভুজি খাওয়া যেমন কমানো যাবে, শরীরচর্চার অভ্যাসও ধীরে ধীরে তৈরি হবে।

Weightloss Fitness Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy