হাঁটতে হবে নিয়ম মেনে। ছবি: সংগৃহীত।
পেশাগত চাপ, খাদ্যাভ্যাসে নানা অনিয়মের জেরে ডায়াবিটিস থেকে রক্তচাপ, কোলেস্টেরল থেকে ওবেসিটির মতো একাধিক রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। চিকিৎসকদের মতে এই সব অসুখের দাওয়াই হতে পারে হাঁটাহাঁটির অভ্যাস।
ফিটনেসবিদদের মতে, কতটা হাঁটছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ কী ভাবে হাঁটছেন। মোটামুটি ৩০ মিনিট হাঁটা খুবই জরুরি, কিন্তু এই ৩০ মিনিট মানে, তা কখনওই ভেঙে ভেঙে কয়েক ধাপে নয়। বরং একটানা হেঁটে বা দু’ধাপেই ৩০ মিনিট পূর্ণ করা উচিত। এ ছাড়াও হাঁটার জন্য বেশ কিছু নিয়ম মানা দরকার।
১) অতিরিক্ত কোনও কিছুই ভাল না। সময় ধরে হাঁটার চেষ্টা করুন। খুব বেশি ক্ষণ হাঁটলে পেশিতে চোট, পেশিতে টান এমনকি, হাড়ের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। হাঁটার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখা দরকার, তবে শরীরের উপর যেন বাড়তি চাপ না পড়ে সে দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
২) পোষ্যকে সঙ্গে করে বা দলবেঁধে গল্প করতে করতে হাঁটতে যান রোজ? এই অভ্যাসের কারণে কিন্তু হাঁটার গতি শ্লথ হয়ে পড়ে। মোবাইল কানে নিয়ে হাঁটলে হাঁটার উপকারিতা আসে না, কথা বলতে গিয়ে হাঁপিয়ে গিয়ে বেশি হাঁটা যায় না।
৩) মাথায় একগাদা চিন্তা নিয়ে হাঁটবেন না। হাঁটা একটা নেশা। অভ্যাসের মতো রুটিনে ঢুকিয়ে নিয়ে দেখুন, মন্দ লাগবে না। কিন্তু প্রথম প্রথম একঘেয়ে লাগলে মোবাইলের হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে হাঁটুন। এতে এমন কিছু হরমোন ক্ষরিত হবে, যা দুশ্চিন্তা কমায়। তবে বড় রাস্তায় গেলে কানে হেডফোন গুঁজে হাঁটার সময়ে সচেতন থাকুন।
৪) হাঁটার সময়ে পরার জন্য জুতো খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পায়ে আরাম দেয়, এমন জুতো পরে হাঁটুন। হাত বা পিঠে খুব বেশি ভার বইবেন না তখন। এতে ক্লান্ত হবেন তাড়াতাড়ি।
৫) হাঁটাহাঁটি করার সময়ে শরীর থেকে ঘাম ঝরে। নিয়মিত হাঁটাহাঁটি করলে বেশি করে জল খান। শরীরে জলের ঘাটতি হলেই বিপদ। ডিহাইড্রেশনের সময়ে হাঁটলে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। পেশিতে টান ধরবে। ফলে হাঁটার প্রক্রিয়া ব্যহত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy