মূত্রনালি সংক্রান্ত সমস্যা ও সংক্রমণ কমাতে স্বমেহন সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
স্বমৈথুন নিয়েই চালু রয়েছে বিস্তর ভুল ধারণা। জানেন কি স্বমেহন শুধু স্বাভাবিকই নয়, স্বাস্থ্যকরও? সুস্থ যৌনজীবনের জন্য তো বটেই, সার্বিক সুস্থতা বাড়াতেও সাহায্য করে স্বমৈথুন। সমীক্ষা বলছে, পুরুষ এবং মহিলা নির্বিশেষে স্বাভাবিক যৌন উত্তেজনা দূর করতে স্বমেহনেই ভরসা রাখেন অনেকে।
স্বমেহন নিয়ে পাঁচটি ভুল ধারণা:
১) স্বমেহনের ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
২) স্বমেহন ফলে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায়। মিলনের সময় কাঙ্ক্ষিত উত্তেজনায় ঘাটতি আসে।
৩) বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি বাড়ে।
৪) এই অভ্যাসের ফলে শরীরে জলের ঘাটতি হয়, ব্রণর সমস্যা বাড়ে।
৫) এই অভ্যাস অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়ায়।
কিন্তু স্বমেহন যে নিছক আনন্দ দান করে তা নয়, স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও স্বমেহন বেশ কার্যকর। মানসিক চাপ কমাতে, ঘুমের উন্নতিতে, উদ্বেগ ও বিষণ্ণতা কাটাতেও স্বমেহন অত্যন্ত সহায়ক। তবে মহিলা এবং পুরুষের ক্ষেত্রে স্বমেহনের উপকারিতা ভিন্ন।
মহিলাদের ক্ষেত্রে কতটা উপকারী স্বমেহন?
১) মূত্রনালি সংক্রান্ত সমস্যা ও সংক্রমণ কমাতে স্বমেহন সাহায্য করে।
২) স্বমেহনের সময় শারীরিক উত্তেজনায় জরায়ুমুখ উন্মুক্ত হয়। এর ফলে জরায়ুতে জন্ম নেওয়া মিউকাস বা জীবাণু বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে।
৩) ঋতুকালীন ব্যথায় অনেক মহিলাই কাবু হন। স্বমেহনের ফলে ঋতুকালীন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে ১৮-৩০ বছর বয়সি বিবাহিত অথবা অবিবাহিত মহিলারা সবচেয়ে বেশি স্বমেহন করে থাকেন।
পুরুষদের জন্য কতটা উপকারী স্বমেহন?
১) বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পুরুষদের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুনের অভ্যাস প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
২) যৌন উত্তেজনা দীর্ঘ ক্ষণ টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে এই অভ্যাস।
৩) অনিদ্রার সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এই অভ্যাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy