শরীরে পুষ্টির অভাব, বুঝবেন কী করে? ছবি: সংগৃহীত।
শরীর সুস্থ রাখতে নিয়ম করে খাওয়াদাওয়ার কোনও বিকল্প নেই। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক, সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেন সে কথা। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা— নিয়ম করে স্বাস্থ্যকর খাবার খেলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। ইদানীং কাজের ব্যস্ততায়, খাওয়ার কথা মনে থাকে না অনেকেরই। তা ছা়ড়া রোগা হওয়ার বাসনায় অনেকেই কড়া ডায়েট করেন। ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবে শরীর স্ফূর্তির অভাব ঘটে। শরীর নানা ভাবে জানান দেয়, প্রয়োজনের তুলনায় আপনি কম খাবার খাচ্ছেন। সেগুলি জানা থাকলে আগে থেকে সচেতন হওয়া সম্ভব।
ক্লান্তি: তেমন কোনও পরিশ্রম ছাড়াই অনেক সময় ক্লান্ত লাগে। অল্প কাজেই অনেকে হাঁপিয়ে ওঠেন। আয়রনের ঘাটতিতে সচরাচর এমনটা হয়ে থাকে। আবার ভিটামিন বি কমপ্লেক্স বা ভিটামিন বি১২-এর অভাবেও ক্লান্তিবোধ হতে পারে। পর্যাপ্ত ক্যালরিযুক্ত খাবারের অভাবেও ক্লান্ত হয়ে পড়তে পারেন। তাই শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে এসব পুষ্টি উপাদান রোজের ডায়েটে রাখা জরুরি।
সারা ক্ষণ মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা: সারা দিন অফিসের কাজে ব্যস্ত থাকায় হয়তো দীর্ঘ ক্ষণ খাওয়া হয়নি। বাড়ি ফিরেই কি পাউরুটি, পিৎজা, অনেকটা ভাত রুটি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বেড়ে যায়? কম খাবার গেলে শরীরে ঠিক মতো স্ফূর্তি থাকে না। তাই কার্বহাইড্রেট বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খোঁজে শরীর। কারণ এগুলি খেলে চট করে এনার্জি পায় শরীর। তাই যদি খুব বেশি এমন প্রবণতা দেখেন, তা হলে বুঝতে হবে পেট ভরে খাচ্ছেন না।
রক্তচাপের মাত্রা কমে যাওয়া: রক্তচাপ যদি হঠাৎ করে কমে যায়, অনেকে সেটাকে ডায়াবিটিস বলে ভুল করেন। কিন্তু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকলেও এমন হতে পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রতি দিন সকাল থেকে বেলা পর্যন্ত না খেয়ে থাকেন, তা হলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়া স্বাভাবিক। এতে শরীরে হরমোনের তারতম্যও হতে পারে।
চুল পড়া: নানা রকম শারীরিক সমস্যারর ক্ষেত্রে চুল ঝরা একটি সাধারণ উপসর্গ। ঠিক করে খাওয়াদাওয়া না করলে এবং শরীরে যদি পর্যাপ্ত প্রোটিন না যায়, তা হলেও চুল পড়তে পারে। যদি দেখেন যে শরীর অন্য সে রকম কোনও অসুস্থতার লক্ষণ নেই, শুধুই চুল পড়ছে, তা হলে বুঝতে হবে অপুষ্টির জন্যই এমন হচ্ছে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: অনেক সময় নানা রকম ডায়েট করতে গিয়ে কার্বোহাইড্রেট এড়িয়ে চলি। কিংবা অজান্তেই হয়তো খাবারে ফাইবারের পরিমাণ কম হয়। তাতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। তাই শরীরে ঠিক মতো খাবার যাচ্ছে না, তা টের পাবেন যদি মলত্যাগ করতে কষ্ট হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy