গলা, বুক জ্বালা করছে কেন? ছবি: সংগৃহীত।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরই গলা, বুক জ্বালা করছে। অথচ রাতে এমন কিছুই খাননি যে, তা থেকে অ্যাসিডিটি হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, গ্যাস, অম্বল, বুকজ্বালার মতো উপসর্গ শুধু খাবারের কারণে হয় না। কোনও কারণে মানসিক চাপ বা উদ্বেগ বেড়ে গেলেও এই রকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অ্যাসিডিটি কমার ওষুধ খেলেও তা এ ক্ষেত্রে খুব একটা কাজে লাগে না। শুধু তা-ই নয়, কারও কারও ক্ষেত্রে এই ধরনের উদ্বেগ পেটে ব্যথা, ডায়েরিয়া কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই মানসিক চাপ বা উদ্বেগ হরমোনের উপর যথেষ্ট প্রভাব ফেলে। এই হরমোনগুলির ভারসাম্য নষ্ট হলে আবার অন্ত্রের কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়।
উদ্বেগ বাড়ছে কি না কোন লক্ষণ দেখে বুঝবেন?
১) পেটের পেশিতে টান
মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ থেকে পেটের পেশি সঙ্কোচন-প্রসারণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। পেটে যন্ত্রণা হয়, মাঝেমধ্যেই পেটের মধ্যে খামচে ধরার অনুভূতি হয়। পেটফাঁপা, গ্যাসের সমস্যাও হতে পারে।
২) মলত্যাগের অভ্যাস পরিবর্তন
উদ্বেগের কারণে অন্ত্রের স্বাস্থ্য খারাপ হয়। কারও ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা যায়। আবার কারও ক্ষেত্রে ডায়েরিয়ার সমস্যাও হতে পারে। কার ক্ষেত্রে কী ধরনের পরিবর্তন আসবে, তা আগে থেকে বোঝা মুশকিল।
৩) বমি বমি ভাব
উদ্বেগ, মানসিক চাপ সেরোটোনিন হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপক হিসাবে কাজ করে। অতিরিক্ত পরিমাণে সেরোটোনিন হরমোন আবার অন্ত্রের স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত করে। ফলে গা গোলানো বা বমি বমি ভাব দেখা যায় অনেকের ক্ষেত্রে।
৪) খিদে কমে বা বেড়ে যাওয়া
মনখারাপ হলে কেউ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন। আবার কেউ হঠাৎ বেশি করে খেতে শুরু করেন। গ্রেলিন নামক একটি হরমোনের কলকাঠিতে খিদে পাওয়া বা না পাওয়ার গোটা বিষয়টিই নিয়ন্ত্রিত হয়। মানসিক চাপ বা উদ্বেগ বেড়ে গেলে গ্রেলিনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
৫) বুকজ্বালা
মানসিক চাপ, উদ্বেগ পাকস্থলীতে অ্যাসিডের ক্ষরণও বাড়িয়ে তোলে। যা বুকজ্বালা বা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy