Advertisement
E-Paper

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে না রাখলে বাড়ে হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি! কোন ৫ পানীয়ে জব্দ হবে রোগবালাই

কোলেস্টেরলের সঙ্গে সঙ্গে রক্তচাপও বাড়ে এবং তার সঙ্গে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। রোজের ডায়েটে কিছু পানীয় রাখলে এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। জেনে নিন কোন ঘরোয়া দাওয়াইয়ে হবে কাজ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ মে ২০২৪ ১২:২৭
কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুমুক দিতে হবে ৫ পানীয়ে।

কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুমুক দিতে হবে ৫ পানীয়ে। ছবি: সংগৃহীত।

কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন প্রায় ঘরে ঘরে। অনেকের ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই বুঝি কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়! সব ক্ষেত্রে এ ধারণা ঠিক নয়।

আসলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়বে কি না, তা নির্ভর করে প্রত্যেকের শরীরের বিপাক হারের উপর। কারও যদি ডায়াবিটিস থাকে, তা হলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা রক্তবাহের মধ্যে সঞ্চিত হয়। রক্তবাহকে সরু ও শক্ত করে ফেলে। রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে রক্তচাপ বাড়ে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বেড়ে যায় কয়েক গুণ। রোজের ডায়েটে কিছু পানীয় রাখলে এই সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। জেনে নিন কোন ঘরোয়া দাওয়াইয়ে হবে কাজ।

ওটসের দুধ

রোজের খাদ্যতালিকায় ওটসের দুধ থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুণ কার্যকরী ওট্‌স। ওটসের দুধে রয়েছে বিটা গ্লুকোন। তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এক কাপ ওটসের দুধে ১.৩ গ্রাম বিটা গ্লুকোন থাকে। উচ্চ কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি দিন অন্তত ৩ গ্রাম করে বিটা গ্লুকোন খাওয়া প্রয়োজন।

গ্রিন টি

অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টিতে থাকা ‘ক্যাটাচিন’ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সয়া দুধ

সয়া দুধে ‘স্যাচুরেটেড’ ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। একেবারে নেই বললেই চলে। দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ কোলস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকলে শরীর সুস্থ রাখতে রোজের খাদ্যতালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন সয়া দুধ। শুধু কোলেস্টেরল নয়, হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এই পানীয়।

কোলেস্টেরল থাকলে সাধারণ দুধের বদলে ওটসের দুধ কিংবা সয়া দুধ খেতে পারেন।

কোলেস্টেরল থাকলে সাধারণ দুধের বদলে ওটসের দুধ কিংবা সয়া দুধ খেতে পারেন। ছবি: শাটারস্টক।

টম্যাটোর রস

টম্যাটোতে উপস্থিত লাইকোপিন শরীরে লিপি়ডের মাত্রা বাড়াতে ওবং লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। রোজ আধ কাপ করে টম্যাটোর রস খেতে পারলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

বেরি স্মুদি

স্ট্রবেরি, ব্লু বেরি, ব্ল্যাক বেরির মতো ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ফাইবার। কম ফ্যাট যুক্ত দুধের সঙ্গে বিভিন্ন প্রকার বেরি মিশিয়ে তৈরি করে নিন স্মুদি। সপ্তাহে ৩ দিন এটি খেতে পারেন। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

Cholesterol
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy