Advertisement
E-Paper

৫ অভ্যাস অজান্তেই আপনার মনখারাপের কারণ হতে পারে

অজান্তেই আমাদের রোজের কিছু কাজ মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে শুরু করে। জেনে নিন, মন ভাল রাখতে চাইলে রোজের কোন কোন অভ্যাস এখনই বদলে ফেলতে হবে।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫ ১২:৩৪
মনের খবর রাখাটাও জরুরি।

মনের খবর রাখাটাও জরুরি। ছবি: শাটারস্টক।

সার্বিক ভাবে ভাল থাকার ভিত্তি হল মানসিক সুস্বাস্থ্য। শরীরের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হল মন। অথচ মনের শুশ্রূষা আড়ালেই থেকে যায়। ব্যস্ত জীবনে মনের তো দূর, শরীরের যত্ন নেওয়ারও পর্যন্ত সময় পাওয়া যায় না। কর্মক্ষেত্রের প্রত্যাশা পূরণের চাপ, ভবিষ্যৎ চিন্তা, ব্যক্তিগত জীবন, অপছন্দের কাজ করা, সময়ের অভাবে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া, পুষ্টিকর খাবার না খাওয়া, নিজের প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলা, অতিরিক্ত ক্লান্তি— মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হওয়ার প্রধান কিছু কারণ। তবে এ ছাড়াও অজান্তেই আমাদের রোজের কিছু কাজ মনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে শুরু করে। জেনে নিন, মন ভাল রাখতে চাইলে রোজের কোন কোন অভ্যাস এখনই বদলে ফেলতে হবে।

১) ডিজিটাল দুনিয়ার আকর্ষণ প্রচণ্ড। বিনোদনের জন্য মোবাইলের এক ‘ক্লিকেই’ ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ওয়েব সিরিজ থেকে অনলাইন গেম্‌সে ডুবে যান আট থেকে আশি। তবে সেই সময়েরও একটা সীমারেখা দরকার। ডিজিটাল দুনিয়ার আসক্তিতে ডুবলে জীবনে খারাপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। তার চেয়ে কিছুটা সময় বই পড়ে, পছন্দের রান্না করে, গান শুনে, ছবি এঁকে— যাঁর যা ভাল লাগে, তা নিয়ে কাটাতে পারেন।

২) ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক, টুইটার— এখন আমরা এই সব মাধ্যমে বন্ধুর খোঁজ করি। সারা ক্ষণ ফোনের সংস্পর্শে থাকার ফলে মনের পরিবার-পরিজন, বন্দুবান্ধবের থেকে ক্রমেই দূরে চলে যাচ্ছি আমরা। মনোবিদরা কিন্তু বলছেন ডিজিটাল দুনিয়ায় বন্ধুত্ব না পাতিয়ে বাস্তবে কাছের মানুষগুলির সঙ্গে বেশি খরে সময় কাটাতে হবে। পরিবার-পরিজন, কাছের মানুষের সঙ্গে ভাল সময় কাটান। সময় কাটানো মানেও সেটি দীর্ঘ হতে হবে এমনটা নয়, যতটা সময় কাটাচ্ছেন, তা যেন সুন্দর হয়।

৩) একঘেয়ে জীবনে মাঝেমাঝে বিরতির দরকার হয়। রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ছুটে চলা জীবনে মাঝেমাঝে লাগাম পরান। কাজ তো সারা জীবন থাকবে, কিন্তু নিজের সেরাটুকু দেওয়ার জন্যেও খানিক প্রস্তুতির দরকার হয়। মনখারাপ হোক বা না হোক, সময় পেলেই বেড়িয়ে আসুন। দরকার হলে সময় বার করে ঘুরে আসুন। আপনার মনের দেখাশোনার দায়িত্ব আপনারই। চাঙ্গা থাকার চেষ্টা করুন। ইচ্ছে অনুযায়ী চলুন। এগুলিই মনের ক্ষতে একটু একটু করে প্রলেপ লাগাবে।

৪) কেবল ‌শরীরের জন্যই নয়, মনের জন্যও ৮ ঘণ্টা ঘুম ভীষণ জরুরি। অনিদ্রাও কিন্তু মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। তাই রাত জেগে সিরিজ় না দেখে সময় মতো ঘুমিয়ে পড়ুন। অযথা রাত জাগার অভ্যাস থাকলে সবার আগে সেই অভ্যাসে বদল আনুন।

৫) মানসিক স্বাস্থ্য অবহেলা করার বিষয় নয়। মনের কোণে যদি এতটুকুও উদ্বেগের মেঘ জমাট বাঁধে, তা চেপে রাখবেন না। যাঁকে বললে বা যাঁদের কাছে বললে আপনি হালকা হতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে, দেরি না করে বলে ফেলুন। সমস্যা চেপে রাখলে আরও বাড়তে থাকে। লাভ কিছু হয় না। দরকার হলে মনোবিদের সাহায্য নিন। কিন্তু মনের মধ্যে যন্ত্রণা আটকে রেখে নিজেকে তিলে তিলে কষ্ট দেওয়া মোটেই বুদ্ধিমানের কাজ নয়।

Mental Health Tips
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy