বাড়িতে এক জনের চোখ লাল হওয়া মানেই একে একে সকলে আক্রান্ত হবেন, এমনটা আশা করাই যায়। কনজাঙ্কটিভাইটিস হলে কী করবেন, কী করবেন না তা কম-বেশি সকলেই জানেন। তবে সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পরেও কারও কারও চোখ থেকে জল পড়ছে, চোখ চুলকোচ্ছে। কনজাঙ্কটিভাইটিস সেরে গিয়েছে বলে ছোঁয়াছুয়ি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না। কিন্তু বাড়িতে খুদে সদস্য রয়েছে বলে মনের মধ্যে ভয় থেকে গিয়েছে। অনেকে আবার আগাম সতর্ক থাকতে চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়েই নিজের ব্যবহার করা আইড্রপ, পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ব্যবহার করতে দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন:
চিকিৎসকেরা বলছেন, এতে সমস্যা গুরুতর হচ্ছে। আসলে এই রোগ এতটাই ছোঁয়াচে যে, এক জনের হলে কাছাকাছি থাকা প্রায় সকলেরই একবার করে সেই ভাইরাস আক্রমণ করতেই পারে। কারণ, লাল চোখ স্বাভাবিক রং ধারণ করার সঙ্গে সঙ্গেই যে ভাইরাস চলে যায়, তা না-ও হতে পারে। সংক্রমণ সেরে যাওয়ার পরেও যদি চোখ থেকে জল পড়ে, সে ক্ষেত্রে সচেতন থাকা জরুরি।
আরও পড়ুন:
কনজাঙ্কটিভাইটিস সেরে যাওয়ার পরের এক-দু সপ্তাহ কী কী মেনে চলবেন?
১) কনজাঙ্কটিভাইটিস সেরে যাওয়ার পরেও যদি কোনও কারণে চোখ থেকে বার বার জল পড়ে, তা হলে চোখ স্পর্শ করা যাবে না।
২) চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখ থেকে জল পড়ার সমস্যা নেই বলে চোখে সরাসরি রোদ না লাগানোই ভাল। বাইরে বেরোলে অবশ্যই রোদচশমা ব্যবহার করতে হবে।
৩) লাল চোখ স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে তোয়ালে, গামছা, রোদচশমা, আইড্রপের মতো ব্যক্তিগত কোনও জিনিসই পরিবারের অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করা যাবে না।
৪) কনজাঙ্কটিভাইটিস ভীষণ ছোঁয়াচে। সেরে যাওয়ার পরেও ব্যবহৃত জিনিসে ভাইরাস থেকে যেতে পারে।
৫) এক বার চোখে সংক্রমণ হয়েছে বলে পুনরায় এমনটা হতে পারে না, তা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। তাই অন্যদের সঙ্গে যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বাইরে থেকে এসেই আগে ভাল করে হাত, পা, মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। বাইরে থেকে ঘুরে আসা পোশাক যদি সঙ্গে সঙ্গে কাচতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে ঘরের এক কোণে সেগুলিকে আলাদা করে রেখে দিতে পারেন।